• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

১৮ বছরপর হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২১, ১২ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ২২:২৭, ১২ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
১৮ বছরপর হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় বুধবার

লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ

লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ। ২০০৪ সালে অমর একুশে বই মেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন তিনি। দীর্ঘদিন দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকার পর একই বছরের ১২ আগস্ট (জার্মান সময়) জার্মানির মিউনিখে মারা যান তিনি। ১৮ বছরপর আগামীকাল বুধবার (১৩ এপ্রিল) সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ভাইয়ের দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মামুন এ রায় ঘোষণা করবেন। এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন দু’জন, পলাতক দুইজন আরেকজন ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে।

গত ২৭ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মামুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৪ সদস্য সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, আনোয়ারুল আলম ওরফে আনোয়ার, মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ও নুর মোহাম্মদ। এর মধ্যে সালেহীন ও নূর পলাতক এবং বাকি ২ জন কারাগারে আছেন।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আসামিরা অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। সে সময় তিনি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশায় উঠছিলেন।

হামলার পর হুমায়ুন আজাদ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা নেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্যাংককে পাঠানো হয় এবং ৪৭ দিন পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। হামলার একদিন পর তার ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।

২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালত ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। হামলার ৩ বছর পর ২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর সিআইডির পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক ৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। 

২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবিরের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।

পুনঃতদন্তের পর সিআইডি পাঁচ জেএমবি নেতাকে অভিযুক্ত করে একটি নতুন চার্জশিট দাখিল করে এবং ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল এটিকে হত্যা মামলায় পরিণত করতে আদালতে আবেদন করে। 

আদালতে যাবেন না হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির

মঞ্জুর কবির বলেন, ‘ভাই হত্যা মামলার রায় হচ্ছে ১৮ বছর পর। কিন্তু এ রায় নিয়ে আমাদের তেমন একটা আগ্রহ নেই। কারণ এ ঘটনা যার কারণে ঘটেছে মূলহোতা জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে মামলায় আসামি করা হয়নি। বড়দা (হুমায়ন আজাদ) হামলার পর মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিলেন। তখন তিনি সাঈদীকে হামলার জন্য দায়ী করেছিলেন। ভিকটিম নিজেই বলেই গেছেন সাঈদী এ ঘটনার সাথে জড়িত। কিন্তু তাকে তো আসামি করা হয়নি। এ কারণে রায় নিয়ে আমাদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই।’

তিনি বলেন, ‘গদ বাঁধা একটা রায় হবে। ২০০৪ সালের মামলার রায় হচ্ছে ২০২২ সালে। তাও ১৮ বছর পর এসে। যদি সাঈদীকে মামলায় আসামি করা হতো, তিনি মামলায় লড়াই করে নির্দোষ প্রমাণিত হতেন-তবে কথা ছিলো। শুনেছি, মামলায় দুই জন জেলে আছে আর দুইজন পলাতক রয়েছে। আদৌ তারা ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো কি না জানি না। তদন্ত সংস্থা জানে।’

রায় শুনতে আসবেন কি না এমন প্রশ্নে মঞ্জুর কবির বলেন, ‘না, কি দরকার।  না আসবো না। আমার দরকার নেই সেখানে যাওয়ার।’

এদিকে মামলার আসামিদের মধ্যে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রিজনভ্যান থেকে তিন আসামি ছিনিয়ে নেয় জঙ্গীরা। ওই তিন জনের মধ্যে সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ এ মামলার আসামি। এদের মধ্যে রাকিব ওইদিন রাতে ধরা পড়ে এবং পরে ক্রস ফায়ারে নিহত হয়। মিজানুর রহমান এবং আনোয়ারুল আলম কারাগারে আছেন। নুর মোহাম্মদ এবং সালেহীন পলাতক রয়েছেন।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: