• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ভাগ্নের ছোঁড়া ইটের আঘাতে জীবন গেল খালার

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ভাগ্নের ছোঁড়া ইটের আঘাতে জীবন গেল খালার

মানিকগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ভাগ্নের হাতে খালা খুনের ঘটনা ঘটেছে। আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার বড়াই গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খালা হারুনীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ভাগ্নে আলমগীর ঘটনার পর থেকে পালিয়ে রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনরা জানান, নিহত হারুনী বেগম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর ছেলে বাবু ও মেয়ে সুমিকে নিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে বাবা বাড়ি আশ্রয় নেন। অপর দিকে আলমগীরের বাবা মালেক মারা যাওয়ার পর তার মা বিমলা বেগম দুই ছেলেকে নিয়ে  প্রায় ১৫ বছর ধরে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। হারুনীর বাবা হামেদ আলী মারা যাওয়ার পর ওই বাড়িতে তার তিন মেয়ে বিমলা  হারুনী ও শুকরী পৃথক পৃথক ঘর করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা নিয়ে মাঝে মধ্যেই হারুনী ও বিমলার মধ্যে ঝগড়া হতো।

মৃতের মেয়ে সুমি আক্তার বলেন, বাড়ির যাওয়ার রাস্তা নিয়ে গত তিন দিন ধরে তার মায়ের সাথে খালা বিমলা ঝগড়া চলছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ঝগড়ার এক পর্যায়ে খালাতো ভাই আলমগীর ইট দিয়ে তার মায়ের মাথায় আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায় ও ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়া পর তার মা মারা যায়। তার মাকে তার খালা বিমলা ও খালাতো ভাই আলমগীর হত্যা করেছে।

নিহতের ছেলে বাবু জানান, তিনি বাড়িতে ছিলেন না, তার মাকে আলমগীর ইট দিয়ে মেরেছে শুনার পর তিনি ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার তার মাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি এই ঘটনায় আলমগীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত আলমগীর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। তার মা বিমলা বোনের লাশ বাড়িতে আসার পর বাড়ি ছেলে পালিয়ে যায়।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পর বিমলা জানান, তার সঙ্গে বোন হারুনীর রাস্তা নিয়ে ঝগড়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তার ছেলে আলমগীর ইট নিক্ষেপ করে ওই ইট তার বোনের মাথায় লাগে। এর পর তিনি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, ঘটনা শুনার পর ঘটনাস্থলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা  বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় কোনো এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। অভিযুক্ত আলমগীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: