থানচিতে খেয়াং নারী হত্যা, অনুসন্ধানের পর আইনানুগ ব্যবস্থা

থানচি থানার দিক নির্দেশক। ছবি- ভিডিও থেকে সংগৃহীত
বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকা থেকে খেয়াং সম্প্রদায়ের এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাহাড়ি সংগঠনগুলো। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেছেন, সঠিক তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার সকালে উপজেলা তিন্দু ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড মুংখয় পাড়া থেকে পাহাড়ি গৃহবধূ ও তিন সন্তানের জননী চিংমা খেয়াং জুম চাষ করতে পাশের পাহাড়ে যান। দুপুর পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় পাড়ার লোকজন তাকে জঙ্গলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অবশেষে সোমবার বিকেল চারটার দিকে গভীর জঙ্গলে গিয়ে চিংমা খেয়াং এর মরদেহ দেখতে পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, তার মাথা থেতলানো এবং চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। এলাকাবাসী এ নৃশংস ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
এঘটনায় মঙ্গলবার (৬ মে) জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সঠিক কারণ অনুসন্ধানের পর আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফেসবুকের নানা বিভ্রান্তিকর পোস্টের বিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, ফেসবুকে একেকজন একেক রকম পোস্ট করে। তারা তো কেউ ঘটনাস্থলে যাইনি। তাই তিনি ফেসবুক দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, নিহত চিংমে খেয়াং ৩ সন্তানের জননী। তার ছোট মেয়ের বয়স মাত্র দেড় বছর।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: