৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ, সাবেক এমপিসহ ৫ জনের জামিন

৫৮১ কোটি টাকার ৭২ হাজার টন সার আত্মসাতের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ পাঁচ জন। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। 

শুনানি শেষে আদালত আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতের দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জামিন পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদত হোসেন নিপু ও মো. নাজমুল আলম বাদল, পোটন ট্রেডাসের উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এবং খুলনা ও নওয়াপাড়ার প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান।

ঢাকার আদালতে দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) আমিনুল ইসলাম জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জামিনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন।

দুদক বলছে, কামরুল আশরাফ খানের মালিকানাধীন ঠিকাদারি কোম্পানি পোটন ট্রেডার্সের ৫০ দিনের মধ্যে সার গুদামে পৌঁছে দেওয়া কথা ছিল। সেটা না করে সার ট্রানজিটে রয়েছে বলে বিসিআইসিকে মিথ্যা তথ্য দেন আসামিরা। ট্রানজিটে থাকা অসরবরাহ করা ইউরিয়া সার দ্রুত সরবরাহ দেওয়ার জন্য মেসার্স পোটন ট্রেডার্সকে ধারাবাহিকভাবে পত্র এবং তাগিদ পত্রসহ মোট ৪৩টি পত্র দেওয়া হয়েছিল। বিসিআইসি গঠন করা তদন্ত কমিটিতেও অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ সৌদি আরব, দুবাই ও কাতার থেকে আমদানি করা ইউরিয়া সার পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সঙ্গে স্থানীয় প্রতিনিধি মেসার্স পোটন ট্রেডার্স এবং প্রিন্সিপাল ড্রাই বাঙ্ক শিপিং (প্রা.) লিমিটেডের মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৫.৫৩০ টন ইউরিয়া সার বিভিন্ন গুদামে সরবরাহ দেওয়ার জন্য মোট ১৩টি স্থানীয় পরিবহন চুক্তি সই হয়। 

৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার (৭২ হাজার টন) সরবরাহ না করে আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি দায়েরর ১০ দিনের মাথায় তাদের জামিন দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর রহমান। দুদকের বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল জামিনের আপত্তি করেন। কিন্তু আপত্তি অগ্রাহ্য করে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।