মুরাদনগরে নারী নির্যাতনের সেই ঘটনার চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো র্যাব

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার মূল হোতা শাহ পরানকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়। শাহ পরান ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই। তিনিই নারীকে মারধর, বিবস্ত্র করা এবং ভিডিও ধারণ ও তা ছড়িয়ে দেওয়ার মূল পরিকল্পনাকারী। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তার কাছ থেকে ঘটনার ছবি, ভিডিওসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, প্রায় দুই মাস আগে ফজর আলী ও তার ভাই শাহ পরানের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে গ্রাম্য সালিশে বড় ভাই ফজর আলী জনসম্মুখে ছোট ভাই শাহ পরানকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এ অপমানের প্রতিশোধ নিতেই শাহ পরান এ ধরনের ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেন।
সালিশের কিছুদিন পর, ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর নারীর বাবা-মা মেলায় গেলে, সেই সুযোগে ফজর আলী টাকা আদায়ের অজুহাতে নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাড়ির আশপাশে অবস্থান করা শাহ পরান, আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজানসহ আরও ৮-১০ জন সহযোগী দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। তারা এ সময় মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
ঘটনার পর থেকে শাহ পরানসহ অভিযুক্ত সবাই আত্মগোপনে চলে যান। র্যাব জানিয়েছে, বাকিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: