গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে হামলা-আগুন, মামলার আসামি ৫৭৫ জন

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহমদ বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওই হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
ওসি সাজেদুর রহমান বলেন, সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের খাটিয়াগড় চরপাড়া এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহমদ বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জেলা শাখার সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, গত বুধবার রাতে যৌথ বাহিনী ১৪ জনকে আটক করে সদর থানায় হস্তান্তর করে। তাদের বুধবার বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই ১৪ জনসহ আজ সকাল পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
গোপালগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে ১২ জনকে ৫৪ ধারায় আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে এনসিপি। এ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) সমাবেশের আয়োজন করা হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায়। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে পৌঁছানোর আগেই সমাবেশস্থলে হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশ শেষে হামলার মুখে পড়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরও। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় সহিংস সংঘাতে। কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় গোপালগঞ্জ ছেড়ে খুলনার দিকে রওয়ানা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ঘটে হতাহতের ঘটনা।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: