বাঁচতে চান ক্যান্সার আক্রান্ত বুটেক্স শিক্ষার্থী ইব্রাহিম

বাঁচতে চান ক্যান্সার আক্রান্ত বুটেক্স শিক্ষার্থী ইব্রাহিম
অবিরাম স্বপ্নে গড়া ইব্রাহিমের ভবিষ্যৎ হঠাৎই থেমে গেল এক কঠিন বাস্তবতায়। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর চতুর্থ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী ইব্রাহিম শেখ আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। প্রতিনিয়ত যিনি লড়ছিলেন জ্ঞানার্জনের যুদ্ধে, এখন তিনি লড়ছেন নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে। প্রতিপক্ষ এক ভয়ংকর রোগ, ক্যান্সার।
ইব্রাহিমের জীবনের গল্পটি যেন হাজারো মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পের প্রতিচ্ছবি। গ্রাম্য মসজিদের একজন ইমামের ছেলে সে। বাবা মাছ চাষ করেও সংসারের হাল ধরে রেখেছেন। ঢাকায় থেকে টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ চালাতেন ইব্রাহিম নিজেই। একমাত্র ছোট বোনকে নিয়ে গড়া এই পরিবারে ইব্রাহিম ছিলেন সকল স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু।
গেল রমজানের ১৫তম দিনে ইব্রাহিমের নাক ও গলা থেকে হঠাৎ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে তেজগাঁওয়ের নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে সিটি স্ক্যান ও অপারেশনের পর নাকের টিস্যু স্যাম্পল পাঠানো হয় বায়োপসির জন্য। রিপোর্টে ধরা পড়ে, এটি কোনো সাধারণ পলিপ নয়—বরং স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা (গ্রেড -২) নামক ক্যান্সার।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে ইব্রাহিমের জন্য ৩০টি রেডিওথেরাপি প্রয়োজন। এরপর সময় ও অবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে পরবর্তী থেরাপির সিদ্ধান্ত। চিকিৎসা চলবে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। নিয়মিত থেরাপি, চেকআপ ও পরীক্ষা মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে ১৬ থেকে ১৮ লাখ টাকা। এই ব্যয়ভার বহন করা তার পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।
ইব্রাহিম এর সহপাঠী নাফিস সারওয়ার খান বলেন, নিয়মমাফিক অপারেশনের পর ক্যান্সারের বিষয়টা জানতে পেরে আমরা সবাই খুব কষ্ট পেয়েছি। ইব্রাহিম আমাদের একজন প্রিয় সহপাঠী, আমরা তাকে হারাতে চাই না। বন্ধুর সুস্থতার জন্য সবার কাছে আমরা দোয়া চাই।
ইব্রাহিম এর বাবা বলেন, এই বিশাল পরিমাণ টাকা জোগাড় করা তো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি আমার সন্তানের জন্য সকলের কাছে দোয়া ও আর্থিক সাহায্য চাই যাতে আমার সন্তান দ্রুত সুস্থ হয়ে যেতে পারে।
সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের বিভাগে তো এ ধরনের সহযোগিতার জন্য নির্ধারিত বাজেট নেই। তবে এটি যেহেতু বিশেষ বিষয়, তাই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে এটি বিবেচনায় নিতে পারে।
ইব্রাহিমের সহপাঠী ও বন্ধুবান্ধবরা ইতোমধ্যেই চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহায়তা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। নিচে দেওয়া নম্বর ও তথ্য ব্যবহার করে যে কেউ চাইলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
সহযোগিতা পাঠানোর মাধ্যমসমূহ:
বিকাশ:
০১৭৮৯৬৪৪২৭৮ – সান (অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ৪৬তম ব্যাচ)
০১৫২১৭৭৫০৬৭ – মুস্তাফিজ (অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ৪৬তম ব্যাচ),
নগদ:
০১৭১৬৬৩৩১৩৯ – শাফায়াত (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট, ৪৬তম ব্যাচ)
রকেট:
০১৫২১৭৭৫০৬৭৮ – মুস্তাফিজ (অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ৪৬তম ব্যাচ)
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: