• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

তারিখ ঘোষণার পরও প্রকাশ হয়নি ৭ কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি 

প্রকাশিত: ২০:০৯, ২০ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
তারিখ ঘোষণার পরও প্রকাশ হয়নি ৭ কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি 

রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা হবে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধীনে। গত ৯ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ অনুমোদন দেয়। এ অনুমোদন পাওয়ার পর ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী প্রশাসক।

তবে প্রশাসকের সেই ‘প্রতিশ্রুতি’ পূরণ করতে পারেনি সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন। এমনকি চলতি মাসের বাকি ১০ দিনের মধ্যেও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি হবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ফলে পিছিয়ে যেতে পারে ভর্তি কার্যক্রম ও নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর সময়। এতে ভর্তির আগেই নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়বেন।

সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রশাসক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস। তিনি সাত কলেজের অচলাবস্থা কাটিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচলে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সম্প্রতি দুই দফা তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক দফায় তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এরপর কাজে ফেরেন।

দ্বিতীয় দফায় তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে বিশ্রামে রয়েছেন। ঢাকা কলেজ সূত্র জানায়, প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস অসুস্থ থাকায় ভর্তির কার্যক্রমে কিছুটা ছেদ পড়েছে। ফলে ঘোষণা দিয়েও ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে সাত কলেজের প্রশাসক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ। কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে তিনি অফিস করতে পারছেন না।

প্রশাসকের অসুস্থতার খবর জানিয়ে ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার বলেন, ভর্তি বিজ্ঞপ্তিটা আজকের মধ্যে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রিন্সিপাল (অধ্যাপক ইলিয়াস) অসুস্থ। আরও কিছু বিষয়ও আছে, সেগুলোর ডিটেইলস (বিস্তারিত) পাওয়া যায়নি। প্রস্তুতির কাজটা যদি বলেন, সেটাও শেষ হয়নি। যার কারণে আজ বিজ্ঞপ্তিটা দেওয়া যাবে না।

প্রশাসকের অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, তিনি (অধ্যাপক ইলিয়াস) হার্টের প্রবলেমে ভুগছেন। পরে ডাক্তার মনিরুজ্জামানকে দেখানো হয়েছে। তিনি টেস্ট দিয়েছিলেন, সেটা করানোর পর ডাক্তার দেখে বলেছেন তার এনজিওগ্রাম করানোর প্রয়োজন নেই। হার্টের কোনো সমস্যা নেই। আশা করছি ৩-৪ দিনের মধ্যে উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

২০ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দ্রুত অনলাইনে আবেদন শুরুর কথা জানিয়েছিল সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন। তবে সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। চলতি মাসের বাকি যে ১০ দিন রয়েছে সে সময়ের মধ্যেও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে কি না তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ।

কবে নাগাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে এমন প্রশ্নে অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার বলেন, প্রিন্সিপাল চেষ্টা করেছিলেন ২০ জুলাইয়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তিটা প্রকাশের। সেটা সম্ভব হয়নি। আজ পর্যন্তো হয়নি। কবে নাগাদ হবে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।

ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। সার্বিক দিক মাথায় রেখে প্রস্তুতি শেষ করে চলতি মাসের মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যদি এ মাস থেকে আবেদন বা ভর্তি কার্যক্রমের শুরুটা করতে হয়, তাহলে তো এ মাসেই বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসক জানাতে পারবেন। এ নিয়ে এ বেশি কিছু আমি জানি না।

সাত কলেজকে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের দাবি আসন সংখ্যা কমাতে হবে। বাড়তি শিক্ষার্থী ভর্তি করলে শিক্ষার পরিবেশে বিঘ্ন ঘটে। মানও নিম্নমুখী হয়। শ্রেণিকক্ষের এবং শিক্ষকদের বিষয়টি বিবেচনা করে যৌক্তিক হারে শিক্ষার্থী ভর্তির দাবি তুলেছেন তারা।

তবে ভর্তির অনুমোদন পাওয়ার পর গত ১১ জুলাই অন্তর্বর্তী প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস জানিয়েছিলেন, এবারও তারা সনাতন ভর্তি পদ্ধতিতে থাকছে। খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। সিলেবাস ও আসনেও তেমন পরিবর্তন আনা হবে না।

তার এ বক্তব্য জাগো নিউজে প্রকাশের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। পরে সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন ও ইউজিসির কর্মকর্তারা আসন কমানোর বিষয়ে জোর দেন। এ নিয়ে এক দফা সভাও করেন তারা।

আসন কমানোর সিদ্ধান্তসহ ভর্তিতে পরিবর্তনের বিষয়ে কতটা অগ্রগতি হলো, সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই জানাতে পারেননি উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার। তিনি বলেন, আসন কমানো বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ শেষ হয়নি। এগুলো নিয়ে আবার একটা সমন্বয় কমিটির মিটিং করতে হবে সম্ভবত। তারপর আসন নির্ধারিত হবে। এরপর বিজ্ঞপ্তি। কোনো কিছুই এখনও কনফার্ম (চূড়ান্ত) হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাত কলেজ ঢাবির অধিভুক্ত থাকার সময়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিতে এক দফা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।

সাতটি কলেজের অধীনে সব অনুষদ মিলিয়ে ২৩ হাজার ৫২৮টি আসন ছিল। ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল অনলাইন আবেদন, যা চলে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। টানা ২৪ দিন আবেদন চলার পর তা স্থগিত করা হয়। ওই সময় পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। তাদের অবশ্য অপশন (আবেদন বহাল/বাতিল) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাত কলেজ প্রশাসক। এখন নতুন করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন নেওয়া হবে। এরপর ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2