• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শিমু হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, মুখ খুললেন জায়েদ খান

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ১৮ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ১৫:৫০, ১৮ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
শিমু হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, মুখ খুললেন জায়েদ খান

ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু’র বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বিএফডিসিতে। এ হত্যাকাণ্ডের সংগে ঢাকাই ছবির চিত্রতারকা জায়েদ খানকে জড়িয়ে নানান কথা শোনা যাচ্ছে। জায়েদ খান বর্তমান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

শিমু হত্যাকাণ্ডে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মুখ খুলেছেন জায়েদ খান। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরেই গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন জায়েদ খান। সেখানে নিজের বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য চলাকালীন লাইভেও আসেন এই নায়ক। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জ আলীপুর ব্রিজের পাশ থেকে বস্তা বন্দী অবস্থায় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম ওরফে শিমুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে ভোটাধিকার হারানো শতাধিক শিল্পীদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিমুও ছিলেন। এ নিয়ে বিদায়ী শিল্পী সমিতির কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান-এর সংগে কয়েকদফায় বিবাদে জড়ান তিনি।

আরও পড়ুন:
দাম্পত্য কলহে অভিনেত্রী শিমুকে হত্যা
অভিনেত্রী শিমু হত্যাঃ দায় স্বীকার করেছেন স্বামী
চিত্রনায়িকা শিমু’র স্বামী ও গাড়িচালককে নিয়ে অভিযানে র‌্যাব-পুলিশ
কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার
ঢাবি অধ্যাপককে হত্যায় দায়ী তাঁর বাড়ির নির্মাণ শ্রমিকেরা

সোমবার শিমুর মরদেহ উদ্ধার করার পর পদ হারানো একাধিক শিল্পী অভিযোগ করেন হত্যাকাণ্ডের পেছনে জায়েদ খানের হাত থাকতে পারে। 

মঙ্গলবার জায়েদ খান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা ছড়াচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। মিথ্যাভাবে আমাকে জড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আমাকে চাপে ফেলার জন্য এই রাজনীতি করা হচ্ছে।’

জায়েদ খান বলেন, ‘শিমুর হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমি। আমি র‌্যাবকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা ইতোমধ্যে আসামিকে ধরে ফেলেছে। গতকাল বিকালে আমি যখন শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তখন শিমু’র ভাই আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে বললেন, জায়েদ ভাই, কাল থেকে শিমুকে খুঁজে পাচ্ছি না। কলাবাগান থানায় জিডি করেছি। আপনার সহযোগিতা চাই। আমি তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আমার ভাই নাজমুলকে বিষয়টি জানাই। শিমু’র ফোন নম্বর দিয়ে তাঁর সর্বশেষ লোকেশনটা কোথায় তা জানতে বলি। এরপরেই নাজমুল জানান, কেরানীগঞ্জে শিমুর ডেডবডি পাওয়া গেছে। 
জায়েদ খান বলেন, ঘটনার পর আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বলা হচ্ছে, ১২দিন আগে শিমু’র সংগে আমার ঝগড়া হয়েছে। অথচ গত দুই বছর ধরে আমার সংগে তাঁর কোনো যোগাযোগ নাই। 

কেন তাঁকে এ হত্যাকাণ্ডের সংগে জড়ানো হচ্ছে- এমন প্রশ্নে জায়েদ খান বলেন, চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব নোংড়ামি চলছে, অপপ্রচার হচ্ছে। 

এদিকে রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় তাঁর স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক বন্ধু ফরহাদকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

বিভি/এসডি

মন্তব্য করুন: