ডিআর কঙ্গোতে গির্জায় প্রার্থনার সময় হামলা, কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের (ডিআরসি) পূর্বাঞ্চলে একটি গির্জায় হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৭ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোরের দিকে ইতুরি প্রদেশের কোমান্ডা শহরের গির্জায় বন্দুক ও চাপাতি নিয়ে সন্দেহভাজন অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) সদস্যরা এই হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
আইএসআইএল-এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এডিএফ হলো একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী, যারা উগান্ডা এবং ডিআর কঙ্গোর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কাজ করে। তারা নিয়মিতভাবে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা কারিতাস দাতব্য সংস্থার পরিচালিত একটি গির্জায় প্রার্থনাসভায় যোগদানের সময় এই হামলা হয়। এরপর বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানও পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন মানবাধিকারকর্মী ক্রিস্টোফ মুনিয়ান্দেরু বলেন, বিদ্রোহীরা মূলত ক্যাথলিক গির্জায় রাত কাটানো খ্রিস্টানদের ওপর আক্রমণ করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত এই লোকদের চাপাতি বা গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
দেশটির রেডিও ওকাপি মৃতের সংখ্যা ৪৩ বলে জানিয়েছে। রেডিওটির মতে, 'গির্জায় প্রার্থনা সমাবেশের সময় ২০ জনেরও বেশি লোককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যান্য লাশগুলো কাছের একটি পোড়া ঘর থেকে পাওয়া গেছে।'
দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলস এনগোঙ্গো বলেছেন, 'আজ সকালে, আমরা যা জানি তা হলো - কোমান্ডা থেকে খুব দূরে একটি গির্জায় চাপাতি হাতে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অনুপ্রবেশ করেছে।'
১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে উগান্ডায় প্রেসিডেন্ট ইয়োভেরি মুসেভেনির সঙ্গে অসন্তোষের বিভিন্ন অভিযোগে একটি গ্রুপ 'এডিএফ' গঠিত করেছিল।
২০০২ সালে উগান্ডার বাহিনীর সামরিক আক্রমণের পর এই গোষ্ঠীটি তাদের কার্যক্রম প্রতিবেশী কঙ্গোতে স্থানান্তরিত করে। তখন থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের হত্যা করে তারা। ২০১৯ সালে গ্রুপটি আইএসআইএল-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।
এদিকে, সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে এবং রুয়ান্ডা-সমর্থিত 'M23' বিদ্রোহীদের সঙ্গে নতুন করে শত্রুতা শুরু হওয়ার পর থেকে তারা এখন আরও জটিল আক্রমণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: