জীবন দিয়ে ২০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা মেহেরীন চৌধুরী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি

ছবি: মেহেরীন চৌধুরী
নিজের জীবন তুচ্ছ করে ২০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা মাইলস্টোন কলেজে শিক্ষক মেহেরীন চৌধুরী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি।
তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আপন খালাতো ভাই মহিতুর রহমানের মেয়ে। বাড়ি নীলফামারীতে। তার স্বামী মনসুর হেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি (তার স্বামী ) জানান, তারা মেহেরীন চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে আজ (২২ জুলাই) ভোরে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছেন, এখন (সকাল ১০.২৫) বগুড়ার বনানী পাড় হচ্ছেন বলেও জানান তিনি। তার বাড়ী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বোগলাগারী গ্রামের চৌধুরী পাড়ায়। সেখানকার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে বলেও জানান মনসুর হাবিব।
তার মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় তুলে ধরেন তার পরিচিতি স্বজনরা। সেসবে তুলে ধরা হয়, তিনি কখনোই রাজনৈতিক পরিচয় দিতেন না। বিএনপি চেয়ারপারসন যখন অসুস্থ হতেন নিজে খাবার নিয়ে যেতেন তিনি। যেখানে বিএনপির বাঘাবাঘা নেতারাও যেতে পারতেন না গ্রেফতারের ভয়ে। সেখানে মেহেরীন চৌধুরী যেতেন। কারাগার থেকে হাসপাতাল, সবখানে। বাইরের মানুষ তাকে চিনতেন মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষক হিসেবে। কিন্তু তার আড়ালে তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদরের ভাতিজি। মামাতো ভাই মহিদুর রহমান চৌধুরীর (তিনি এম আর চৌধুরী নামে পরিচিত) মেয়ে। প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর পর আপন ভাইয়ের মতো তার পরিবার আগলে রাখেন এই মহিদুর রহমান। কথাগুলো অনেকের অজানা।
মিডিয়া ফোকাসের জন্য আজ অনেকেই অনেক কিছু করেন কিন্তু এই পরিবার কিংবা শিক্ষক মেহেরীন কখনোই কোনো প্রচারে আসতেন না।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: