• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ, ভারতে ঐতিহাসিক বিল পাস

প্রকাশিত: ২১:৫০, ২২ আগস্ট ২০২৫

ফন্ট সাইজ
অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ, ভারতে ঐতিহাসিক বিল পাস

ভারতের সংসদ অনলাইন জুয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করেছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৪৫ কোটি মানুষকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন অনলাইন কোম্পানি প্রতিবছর প্রায় ২.৩ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেয়।

নিষিদ্ধের আওতায় এসেছে তাস খেলা, পোকার এবং ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্মগুলো। এর ফলে ভারতজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় ফ্যান্টাসি ক্রিকেট অ্যাপগুলোর ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ড্রিম ১১, যা ভারতের সবচেয়ে বড় ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম এবং ২০২৩ সালের জুলাইয়ে তিন বছরের জন্য ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর হয়েছিল। দলের জার্সিতে বর্তমানে তাদের লোগোই রয়েছে।

তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকি শুক্রবার বলেছেন, যদি এটা অনুমোদিত না হয়, তাহলে আমরা কিছুই করব না। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিমালার প্রতি বিসিসিআই সম্পূর্ণভাবে অনুগত থাকবে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাস হওয়া প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল অনুযায়ী, এ ধরনের গেম প্রচার, অর্থায়ন বা পরিচালনা করা এখন অপরাধ। আইন ভাঙলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ড্রিম ১১ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিল পাস হওয়ার পর থেকে তারা ক্যাশ গেম এবং প্রতিযোগিতা বন্ধ করেছে। তবে তারা ব্যবহারকারীদের ‘অপেক্ষায় থাকতে’ বলেছে। অন্যদিকে, বিলটি এখনো প্রেসিডেন্টের অনুমোদন পায়নি, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়নি।

সরকারের ভাষ্য, এই আইন মূলত অনলাইন জুয়ার ভয়াবহ আসক্তি, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং সামাজিক বিপর্যয় ঠেকানোর জন্য আনা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতারক গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলো দ্রুত ধনী হওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের জীবন ধ্বংস করছে। এ আইন সেই প্রবণতা রুখতে সহায়ক হবে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাজার ভারতের গেমিং শিল্পে এই আইনে কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। ই-স্পোর্টস এবং শিক্ষামূলক গেমগুলোকে উৎসাহিত করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, নতুন আইন একদিকে ই-স্পোর্টস ও অনলাইন সামাজিক খেলাকে উৎসাহিত করবে, অন্যদিকে আমাদের সমাজকে অনলাইন টাকার খেলাগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।

সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ অনলাইন জুয়ায় টাকা হারান। শুধু তাই নয়, এ খাতকে কেন্দ্র করে প্রতারণা, অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঘটনাও ঘটছে বলে দাবি করেছে সরকার।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2