ইসরাইলের হামলার পর কাতারকে সতর্ক থাকতে বললেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী দোহায় ইসরাইল হামলার পর কাতারের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, কাতারকে রাজনৈতিকভাবে আরও সতর্ক থাকতে হবে এবং ইসরাইলকেও হামলার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দোহায় ইসরাইলি হামলার পর কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন। তিনি উপসাগরীয় এ দেশকে ‘মহান মিত্র’ আখ্যা দিয়ে বলেন, কাতারকে তাদের অবস্থানের কারণে ‘কিছুটা রাজনৈতিকভাবে সতর্ক’ থাকতে হবে।
রবিবার নিউ জার্সির মরিসটাউন থেকে হোয়াইট হাউসে ফেরার পথে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কাতার আমাদের বড় মিত্র। তারা ভৌগোলিকভাবে সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকায় খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের শব্দচয়নেও কিছুটা রাজনৈতিকভাবে সতর্ক থাকতে হয়। তবে আমি বলতে পারি, তারা যুক্তরাষ্ট্রের মহান মিত্র হয়ে আছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে দোহায় হামলা প্রসঙ্গে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘তাহলে ইসরাইলসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যখন আমরা আক্রমণ করি, তখন সাবধান থাকা জরুরি।’
গত শুক্রবার নিউইয়র্কে ট্রাম্প কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে নৈশভোজে বসেন। কাতারি দূতাবাসের উপপ্রধানের ভাষ্য, ওই বৈঠক ছিলো ‘খুব সফল।’
এর আগে মঙ্গলবার দোহায় ইসরাইলি বিমান হামলায় শীর্ষ হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ওই হামলায় পাঁচ হামাস সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। এ ঘটনায় পুরো অঞ্চলসহ আন্তর্জাতিক মহল থেকে তীব্র নিন্দা আসে।
এর আগে কাতারে হামলা নিয়ে ইসরাইলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এ ধরনের একতরফা পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের কারও স্বার্থে কাজে আসছে না। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে কাতারকে সতর্ক করতে বলেছেন।
তবে কাতার বলেছে, তাদের সতর্ক করা হয়েছিলো কেবল তখনই, যখন হামলা চলছিলো। সেই সময় হামাস নেতারা গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ পর্যন্ত ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে দোহায় হামলার কারণে যুদ্ধবিরতি অর্জনের প্রচেষ্টা আরও জটিল হয়ে পড়েছে। মূলত কাতারই যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সঙ্গে মিলে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: