গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করা একটিমাত্র জাহাজ নিয়েও এবার সংশয়, নেই খোঁজ!

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জলসীমায় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মিকেনো নামে একটি জাহাজ প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু ইসরাইল বলছে ভিন্ন কথা। একটি জাহাজও পৌঁছাতে পারেনি বলে দাবি দেশটির।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে লাইভ ট্রেকারে দেখা যায় জাহাজটি গাজার জলসীমায় আছে। তবে এই নৌযাত্রার আয়োজকরা সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, তারা ওই জাহাজে থাকা কারও কাছ থেকে নিশ্চিত হতে পারেননি জাহাজটি গাজা উপকূলে প্রবেশ করেছিল কি না। তারা মূলত স্বয়ংক্রিয় আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস)-এর মাধ্যমে জাহাজটির অবস্থান জানতে পারেন।
কিন্তু এরপর মিকেনো জাহাজটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এটি কোথায় কীভাবে আছে তারা তা জানেন না।
আয়োজকরা বলেছেন তারা তিনটি পদ্ধতিতে জাহাজগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। সেগুলো হলো স্বয়ংক্রিয় আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম, স্থল থেকে চালানো সিসিটিভি এবং রেডিও যোগাযোগ। এরমধ্যে স্বয়ংক্রিয় আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম থেকে তারা জানতে পারেন মিকেনো গাজার জলসীমায় ঢুকেছে।
দখলদার ইসরাইল গতকাল রাত থেকে ফ্লোটিলার জাহাজগুলো আটক করা শুরু করে। আজ বৃহস্পতিবার ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব জাহাজ তারা জব্দ করেছে। জাহাজে থাকা অধিকর্মীদের ইসরায়েলে নেওয়া হচ্ছে। এরপর তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে।
ফ্লোটিলার আয়োজকরা বলেছেন, মেরিনেত্তে নামে একটি জাহাজ এখনো গাজার দিকে এগোচ্ছে। এ জাহাজের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। তারা জানিয়েছেন, মেরিনেত্তো নৌবহরের বাকি জাহাজগুলোর পেছনে ছিল। এখন এটি সামনে এগিয়ে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরও সামনে আসার পর দখলদার ইসরাইলের নৌবাহিনীর কমান্ডোরা এ জাহাজটিও আটক করবে।
সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই জানিয়েছে, ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা প্রথমে বড় জাহাজগুলোকে আটকিয়েছে। এরফলে ছোট জাহাজগুলো গাজার আরও কাছে এগিয়ে যেতে পেরেছিল।
জাহাজগুলো আটক করতে আসা সেনারা লাউড স্পিকারে প্রথমে ইঞ্জিন বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এরপর তাদের অন্ধ করে দিতে জাহাজের দিকে তীব্র আলোর লাইট জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া জাহাজের যাত্রীদের ওপর তরলজাতীয় কিছু ছুড়ে মারে।
সূত্র: মিডেল ইস্ট আই
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: