• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বয়সে বড় নারী বিয়ে করলে পড়তে পারেন সমস্যায়, আছে সমাধানও

প্রকাশিত: ১৬:০০, ৩১ জুলাই ২০২২

আপডেট: ১৭:৩০, ১৭ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
বয়সে বড় নারী বিয়ে করলে পড়তে পারেন সমস্যায়, আছে সমাধানও

প্রতীকী ছবি

কথায় আছে, প্রেম বয়স মানে না। কম বয়সী ছেলেরা কখনো কখনো বেশি বয়সী মেয়েদের প্রেমে পড়ে। কখনোবা বিয়েও করেন। অসমবয়ী এই বিয়ে নিয়ে সমাজে অনেক কথা প্রচলিত আছে। কিন্তু পুরষের বয়স বেশি নারীর কম হলে কোনো সমালোচনা হয় না। এরও রয়েছে বিস্তর এক কাহিনী। আজ সেই আলোচনা নয়। আজকের আলোচনা বেশি বয়সের মেয়ে বিয়ে করলে কী হয়।

নিজের থেকে বয়সে বড় এমন নারীর প্রেমে যে কোনো ছেলেই পড়তে পারে কিংবা ভালোবাসতে পারে এমনকি বিয়েও করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু আমাদের সমাজ ও পরিবার এমন ‘অসম’ বয়সের সম্পর্ক সহজে মেনে নিতে চায় না। এমনকি বয়সের পার্থক্যের কারণে ভবিষ্যতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন: কলেজছাত্রকে বিয়ে করলেন ১৮ বছরের বড় শিক্ষিকা

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মসিউর রহমান জানান, এ ধরনের সম্পর্কে দুজনকেই নানা ধরনের সামাজিক বা পারিবারিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। তবে তিনি মনে করেন, বয়সের ব্যবধান যদি অনেক বেশি হয়, অর্থাৎ ১০-১৫ বছরের ব্যবধান হলে সোশ্যাল, বায়োলজিক্যাল বা ডেমোগ্রাফিক্যাল সব ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। আসলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্কটি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। তাই সমাজ বলি আর পরিবার বলি, কোথাও এই অসম সম্পর্কটি গ্রহণযোগ্য হয়নি।

তবে অধ্যাপক রহমান মনে করেন, যদি এই সম্পর্কটি দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে হয় তাহলে খুব বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয় না। যদি তাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো থাকে। অসম বয়সের বিয়ের ক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং তার সমাধান কী।

আরও পড়ুন: ‘মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না’

*স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি হলে পারিবারিক ও সামাজিক নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। ফলে উভয়ের মধ্যেই মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এই মানসিক চাপ যেমন দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে, তেমনি এর কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যেতে পারে। এক্ষেত্রে সমাধান হিসেবে বলা যেতে পারে সম্পর্কের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হলে তা উত্তরণের চেষ্টা করুন। সঙ্গীর সাথে বেশি সময় কাটান। 

আরও পড়ুন: গবেষণায় স্বামীদের দীর্ঘজীবী হওয়ার রহস্য উদঘাটন

* আমাদের পরিবারগুলো এখনো গতানুগতিক সম্পর্কের বাইরে বেরোতে পারেনি। খুব কম পরিবারই আছে যারা এমন বিয়ে সহজেই মেনে নেয়। পরিবারের  সদস্যরা এ সম্পর্কের ব্যাপারে কোনো ধরনের সহযোগিতাই করেন না। পরিস্থিতি এরকম হলে পরিবারকে চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করুন যে আপনারা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। যেকোনো সম্পর্কে প্রয়োজন ভালো বোঝাপড়া, শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ। এখানে বয়স কোনো মুখ্য বিষয় নয়। একসময় না একসময় পরিবার মেনে নেবেই।

আরও পড়ুন: যে বয়সে বিয়ে করলে আসবে সুখ, বাড়বে আয়ু

* স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্যের কারণে মানসিক বয়সের পার্থক্যও দেখা দেয়। এই মানসিক বয়সের পার্থক্যের কারণে মাঝে মাঝেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব হতে পারে,  হতে পারে ভুল বোঝাবুঝিও। এমতাবস্থায় একে অপরের চিন্তাভাবনা, মতামত, সিদ্ধান্ত ইত্যাদিকে গুরুত্ব দিন। সমস্যা হলে খোলাখুলি আলোচনা করুন।

* সাধারণত ৩০-৩৫ বছরের পরেই গর্ভধারণের ব্যাপারটি মেয়েদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই স্ত্রীর বয়স বেশি হলে তা আরো বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই বিয়ের আগে বা বিয়ের পরপরই ঠিক করে নিন যে আপনারা সন্তান কবে নিতে চান।  বেশি দেরি না করাটাই ভালো। 

আরও পড়ুন: যে বয়সের পুরুষরা সন্তান জন্ম দিতে বেশি সক্ষম

* স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য খুব বেশি হলে একটা সময়ে গিয়ে যৌনজীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এর ফলে দাম্পত্য সম্পর্কে কলহ সৃষ্টি হয়।  এক্ষেত্রে  শারীরিক সম্পর্কে একে অপরের মধ্যে সমঝোতার দরকার রয়েছে। এ ব্যাপারে ধৈর্য ও সহনশীলতারও প্রয়োজন। তাই দুজনের মতামতকেই প্রাধান্য দিন। কেননা দুজনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তই বয়ে আনতে পারে সুখ।

আরও পড়ুন: সমবয়সীকে বিয়ে করার ১০ উপকারিতা!

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: