যে খাবারগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে সহজেই

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি কষ্টদায়ক ব্যাধি। তবে সুস্থ খাদ্যাভাসের কারণে এই নিরাময় সম্ভব। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত। তবে কি কি কারনে এটা হয় সেগুলোও জেনে রাখা জরুরি, নতুবা শুধু খাবার পরিবর্তন করে লাভ পাওয়া যাবে না।
পানি: দেহে পানি শূন্যতা হলে অন্ত্র মলে পানি যোগ করতে পারে না। মল শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায়।
দুধ ও দই জাতীয় খাদ্য: দইজাতীয় খাবারে প্রোবায়োটিক থাকে যা একধরনের উপকারী জীবাণু। এই জীবাণু সুরক্ষা দেয় ও মলকে নরম রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১৮০ মি.গ্রা. দই দু সপ্তাহ খেলে দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
ডাল জাতীয় শস্য: হরেক রকমের ডাল মটরশুঁটি, মসুর, কিংবা কলাই এর ডাল উচ্চ আশযুক্ত হওয়ায় হজমে সহায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১০০ গ্রাম রান্না করা ডালে ২৬% আশ ও পর্যাপ্ত জিংক, পটাশিয়াম, ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি৬ থাকে।
স্যুপ: ক্লিয়ার স্যুপগুলো সহজ পাচ্য। যার ফলে আমাদের রুগীরা সহজে হজম করতে পারে। এটা ইতোমধ্যে শক্ত হওয়া মলকে নরম হতে সাহায্য করে ।
শুকনো ফল: উচ্চ আঁশ, সরবিটল ও ফেনোলিক থাকায় অন্ত্রের গতি বাড়ায়।
গমের তুস: হুইট ব্রান চা, এটি এমন আঁশ দিয়ে তৈরী যা অন্ত্রের গতি বাড়ায়। যে সমস্ত মহিলারা আঁশযুক্ত খাবার কম খান, তাদের জন্য হুইটব্রান বা গমের খোসা কার্যকর ঔষধ। দৈনিক মাত্র ১০০গ্রাম দু সপ্তাহ সকালের নাস্তায় খেলে ক্রনিক কনস্টিপেশন ভাল হয়।
ব্রকোলি: এতে সালফোরাফেন আছে, যা পেটের জীবানু বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে ও হজমে সহায়তা করে। দৈনিক ২০ গ্রাম ব্রকোলি আমাদের যেকোন পেটের অসুখ ভালো করতে সাহায্য করে।
তাজা ফল: তাজা ফল ও সবজি আপেল, নাশপতি, আঙ্গুর, কিউই ফল এগুলো পানি ও আঁশযুক্ত, সরবিটল ও ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ। দৈনিক ১০০গ্রাম ফল আমাদের এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারে।
মিষ্টি আলু: ফ্রাইড স্যুইট পটেটো মধ্যম সাইজের খোসা সমেত সেদ্ধ বা বেক্ড একটি মিষ্টিআলুতে প্রায় ৪ গ্রাম আশঁ পাওয়া যায়। যা অন্য খাবারের তুলনায় বেশি উপকার করে।
ভুট্টা: এয়ার পপ কর্ন যা রাস্তায় ভেজে বিক্রি করা হয়, সেটিও উচ্চ আশঁ ও কম ক্যালরিসমৃদ্ধ।
এছাড়াও আরো অনেক খাদ্য ও ফল আছে যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। তবে কিছু খাবারও আমাদের পরিহার করা উচিত, যা কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন- অ্যালকোহল, কলা, কফি কিংবা লাল মাংস।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: