‘দগ্ধদের জন্য রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই, পর্যাপ্ত মজুত আছে’

ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে দগ্ধদের জন্য রক্তের প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ স্কিন ডোনেট করতে আগ্রহী। তবে হাসপাতালের সংরক্ষণে পর্যাপ্ত স্কিন মজুত আছে। যদি কারও প্রয়োজন হয়, আমরা সেখান থেকেই ব্যবহার করতে পারবো।
ডা. নাসির বলেন, অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য টাকা পাঠাতে চাচ্ছেন। এসবের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের আহত বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য যা যা লাগবে, সব কিছু সরকার বহন করবে। আহতদের চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করছে।
তিনি জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সংকটাপন্ন দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একজন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে এবং অন্যজন বিকেল সাড়ে ৪টায় মারা যায়।
বর্তমানে ছয়জন রোগী ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ১৩ জন রোগী সিরিয়াস অবস্থায় ছিল এবং তারা এখনো সেই অবস্থাতেই রয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে তাদের মধ্যে কয়েকজন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে চলে আসতে পারে। বাকি ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরির রোগীর মধ্যে ১৩ জনকে আমরা কেবিনে স্থানান্তর করতে পেরেছি।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বোর্ডের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া, চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আসছেন। বাচ্চাদের চিকিৎসায় আমরা কোনো দেশ বা সীমান্তভেদে পার্থক্য করছি না। যে সিদ্ধান্ত ও মতামত আমাদের বাচ্চাদের উপকারে আসবে, আমরা সেটাই গ্রহণ করছি, যোগ করেন তিনি।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: