দেশে ৬ কোটির বেশি মানুষ দারিদ্রসীমা নিচে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে: বিশ্বব্যাংক
ধারাবাহিক মূল্যস্ফীতি ও শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ায় ২০২৫ সালে দেশের দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১ দশমিক দুই শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির প্রতিবেদন বলছে, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো বিপর্যয়ের ধাক্কায় দেশের এক তৃতীয়াংশ তথা ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে 'বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও বৈষম্য বিশ্লেষণ, সমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রা বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের পরিচালক ড. সেবাস্টেন একার্ড জানান, উৎপাদনশীল খাতের কর্মসংস্থানে স্থবিরতা বিরাজ করায় নারী ও যুবকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরাঞ্চলে দারিদ্র্য কমলেও গ্রামাঞ্চলে তেমন কমেনি।
সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রবৃদ্ধির অনুপাতে কর্মসংস্থান বাড়েনি।
অন্য আলোচকরা জানান, ২০১০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের হার ৩১ থেকে কমে হয়েছে ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। একই সময়ে চরম দারিদ্র্য কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৬ শতাংশে। তবে, ২০১৬ সালের পর দারিদ্র্য কমার গতি অনেকখানি কমেছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকায় দারিদ্র্য সেভাবে কমেনি।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: