• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নতুন সরকার হোক সাধারণ জনগণের, পূর্ণ হোক প্রত্যাশা

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ১০ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ১৩:২৪, ১২ আগস্ট ২০২৪

ফন্ট সাইজ
নতুন সরকার হোক সাধারণ জনগণের, পূর্ণ হোক প্রত্যাশা

সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা সীমিত কিন্তু প্রবল। দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারলে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের তেমন বিশেষ চাহিদা থাকে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই মানুষগুলো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে। দিন শেষে পরিবার পরিজন নিয়ে পেট ভরে খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে চায় এই গোত্র। দেশে ধনী শ্রেনীর মানুষের সংখ্যা তাদের তুলনায় অনেক কম। রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ীদের অনেকেই সাধারণ মানুষের দলে। দিন শেষে সংখ্যায়-শক্তিতে এগিয়ে এই সাধারণ মানুষই দেশ গড়ায় অংশ নেন। রাষ্ট্রের চাকা সচল রাখেন। পকেটের টাকা ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে সাহায্য করেন। এগিয়ে চলে দেশ।

বলছি সাধারণ মানুষের কথা। তাহলে এরা কারা? মনে করুন, একজন রিকশাচালক। সে দিনভর রিকশা চালায়। যে কয় টাকা রোজগার করে তা দিয়ে সংসার, পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে। দিনমজুর, চাকরিজীবী তারাও সাধারণের দলে। কারণ, উদ্দেশ্যে সবারই এক। রোজগার করে ঘনিষ্টজনদের নিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করাই তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। কাগজে কলমে না হলেও এরাই নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে সরকারের চলার বন্দোবস্তো করে। বিশেষ ব্যবসায়ী, শিল্পপতি কিংবা বড় রাজনীতিবিদের হিসাব অন্য স্থানে। তারা নানান কারণে সাধারণ নয়, জীবন যাপনের হিসেবেও তারা ব্যাতিক্রম। কিন্তু এদের সংখ্যা অতি নগণ্য। জাতীয় সংসদের ৩৫০ জন সদস্য সাধারণ মানুষের দলে নন, গ্রুপ অব কোম্পানির মালিকও হয়তো সাধারণ নন। মিলিয়নিয়ার-বিলিয়নিয়ার যারা রয়েছেন তারাও এই তালিকার বাইরে। কিন্তু, সব মিলিয়ে সাধারণ এবং এর বাইরের মানুষের যে অনুপাত তাতে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। গুটিকয়েক মানুষ সব সময় অসাধারণ অথবা সাধারণের বাইরে থাকেন। কিন্তু তাদের দিয়েই লক্ষ-কোটি মানুষের যাবতীয় চাহিদা পূরণ হয়। রাষ্ট্রীয় চাকা কাগজে কলমে নিরবচ্ছিন্নভাবে সচল রাখে তারাই। অর্থাৎ, সাধারণ-অসাধারণ দুইপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ। 

যে ব্যক্তি গার্মেন্টের মালিক, তিনি হাজার মানুষের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করেন, সরকারকে আয়করও প্রদান করেন। তাদের কার্যক্রমও মহান হয়, যদি তারা সৎ মানুষ হন। কিন্তু, পরিক্রমা দেয় ভিন্ন বার্তা। এখানে বেতন-ভাতার জন্য শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হয়, রাজপথে নামতে হয় অভুক্ত খেটে খাওয়া মানুষদের। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় সারির দেশে এই প্রবণতা প্রবল। অথচ, এমনটি কারও প্রত্যাশিত নয়।

বিদেশী ঔপনিবেশ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় আগে। প্রজাতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান। ১২টি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। ১৯৭১ এর পর থেকে নানান রাজনৈতিক দল এবং দুই-একজন স্বৈরশাসক রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। টানা ক্ষমতায় থেকে যখন কোন শাসক ভুলে গেছে জনগণই সকল ক্ষমতার শীর্ষে, তখনই তাদের পতন হয়েছে অনিবার্যভাবে। কখনো রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে, কখনো আপামর জনতার সাহসী অংশগ্রহণে। আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম শুনেছি। তারও পতন হয়েছিল রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমেই। 

রাজনৈতিক দলের ছায়ায় একজন শাসক যখন স্বৈরাচারে রূপান্তর হন তখন নিজের অংশ বাদ দিয়ে তিনি সাধারণের জন্য চিন্তা করতে পারেন না। তখন জনগণের ইচ্ছায় নয়, নিজের ইচ্ছায় দেশ পরিচালনা করেন স্বৈরশাসক। এতে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর উন্নতি হয়। পক্ষান্তরে, ধারাবাহিকভাবে অবনতি হতে থাকে খেটে খাওয়া মানুষদের। যখন সকল অন্যায়-অনিয়ম বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করে তখন কেউ আর ঘরে বসে থাকে না। মৃত্যুর ভয়কে জয় করে জুলুমকারীকে প্রতিহত করতে উদ্যত হয় এবং প্রাণ বিসর্জন দিয়েই তারা সফল হয়। ইতিহাসে দেশে-বিদেশের ঘটে যাওয়া এমন অনেক নজির রয়েছে।

লিবিয়ায় ৪০ বছর ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির নাম জানেন অনেকেই। শুধু রাষ্ট্র নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে যারা খোঁজ রাখেন তারা জানেন গাদ্দাফির পরিণতি। দীর্ঘ ৪০ বছর পর যে কারণেই হোক তারও পতন হয়েছিল। গণতান্ত্রিক হোক অথবা রাজতন্ত্র; সর্বক্ষেত্রেই জনগণ অর্থাৎ সাধারণ মানুষের প্রয়োজন হয়। কারণ, প্রজা ছাড়া রাজা হওয়ার কোন মূল্য নেই। আর, রাজা না থাকলে প্রজারও দেখাশোনা বা নেতৃত্ব দেওয়ারও কেউ নেই। 

আরব দেশে এখনও রাজতন্ত্র বিদ্যমান। সেখানকার বাদশাগণ তাদের নিজেদের মতো করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। কঠোর নিয়মনীতি মেনে চলে সেইসব রাষ্ট্রের নাগরিকগণ। অনেকেই হয়তো মনে করেন, আরবের সবাই ধনী। কথা সত্য, তারা ধনী। কিন্তু, সেই ধনীদেরও নিয়ন্ত্রণ করেন সে দেশের রাজা-বাদশা ও তাদের তৈরি করা নিয়ম। আর সেই নিয়মগুলোও সকলের মঙ্গলের জন্য, রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য। পৃথিবীর সব দেশেই নিয়ম রয়েছে, সংবিধান বা আইন রয়েছে। এসব বিধি বা কানুন মেনেই এগিয়ে চলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, হোক তা গণতান্ত্রিক দেশ কিংবা রাজতন্ত্রের দেশ। 

তৃতীয় সারির দেশগুলোতে অন্যায়-অনিয়ম হয় বেশি। যে কারণে তারা পিছিয়ে থাকে। দুর্নীতি, অপশাসন, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, বিচারহীনতা, জবাবদিহীতার অভাব, যোগ্য মানুষের নেতৃত্বের অভাবে পিছিয়ে যায় রাষ্ট্রগুলো। ধরা চলে, বাংলাদেশও এদের কাতারেই। স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন তারা সকলেই সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নয়নের কাজ করেছেন, সাধারণের মঙ্গল করতে প্রত্যক্ষ প্রতিজ্ঞা করেছেন। কিন্তু, নেতিবাচকতা যখন তাদের গ্রাস করেছে তখন রাষ্ট্রের আর উন্নতি হয়নি, হয়েছে অবনতি। আর এ জাতীয় কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে দেশের সাধারণ নাগরিক। সাধারণ মানুষের সীমিত চাহিদা থাকলেও তা নিয়ে তেমন ভ্রুক্ষেপ করতে দেখা যায়নি অসৎ ক্ষমতাধরদের। উন্নয়নের প্রতিজ্ঞা সংবলিত ইশতেহার প্রকাশ করেই গত হয়েছে স্বাধীন দেশের অর্ধশত বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু, জনমানুষের প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে কোথায়?

প্রত্যেকবার জাতীয় নির্বাচনের পর যখন কোন সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সাধারণের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। সকলেই মনে করেন, নতুন সরকার হয়তো যথাযথ কাজটিই করবে। কিন্তু, তেমন আর হয়ে উঠে না। বিগত বছরগুলোতে এর অনেক উদাহরণ দেখা গেছে। অর্থাৎ, গত হওয়া প্রতিটি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকারও চেয়েছেন সাধারণ নাগরিক। এরপর যখন নতুন আরেকটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে তখনও সাধারণ মানুষ পূণরায় দেশের প্রকৃত উন্নতি প্রত্যাশা করেন। লোক দেখানো উন্নয়ন কিংবা নিজেদের ইচ্ছা মতো প্রকল্প তারা চান না। কিন্তু, ঘটনার পরিক্রমায় হয় উল্টোটি। শুরুতে সকলেই লোক দেখানো কাজ করে, সাধারণের উন্নয়নের জন্য মেগাপ্রজেক্ট হাতে নেয়। কয়দিন পর দেখা যায়, এখানে-ওখানে দুর্নীতির চিত্র। পরবর্তীতে নিজেদের লোকজনদের সুবিধা দিতে গিয়ে সার্বিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের আপামর জনতা। 

‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করেও বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি দমন করা যায়নি, অবাধ ঘুষ বাণিজ্য এতোকাল কুঁকড়ে খেয়েছে প্রজাতন্ত্রের মালিক সাধারণ মানুষদের। শিক্ষা ব্যবস্থা ভালোমন্দের মাঝে দোদুল্যমান। চিকিৎসা ব্যবস্থা নামেমাত্র আধুনিকায়ন হয়েছে। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে লুট করা হয়েছে হাজার-লাখ কোটি টাকা। ব্যাংকিং ব্যবস্থায়ও পরিবারতন্ত্র ঢুকেছে, খেলাপী ঋণও হাজার হাজার কোটি টাকা। বস্তা বস্তা টাকা পাচার হয়েছে বিদেশে। বাজার ব্যবস্থায় যে নৈরাজ্য তারও লাগাম টানা যায়নি। এসব নিংড়ে অতীতে কোন লাভ হয়নি, ভবিষ্যতও অনিশ্চিত। তবে, এবার দেখা যাবে নতুন সরকার কী পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম পরিচালনা করে।

প্রতিবার নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে পেয়ে বসেছে বাংলার আবেগী মানুষদের। ক্ষমতালোভীরা বরবার সামিল হয়েছে স্বেচ্ছাচারিতার দলে। কিন্তু, তাতেও এ জাতি স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়নি। আশায় বুক বেঁধেছে। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে হয়তো দেশের জন্য কাজ করবে, সাধারণ মানুষকে ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবে; এমন আশা নিয়ে এখনো শক্ত বিছানায় ঘুমিয়েছে আমজনতা। কিন্তু, ঘুম ভেঙে তারা সেই প্রত্যাশিত আলোর দেখা পায়নি কখনো।

২০২৪ সালে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন দেশ আবার ‘স্বাধীন’ করেছে। এতে সাধারণ জনগণের মনে নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে। মানুষ চাল-ডাল-আলু, ডিম-মাংস কিনে হাসিমুখে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা চায়। প্রতিটি ভোগ্যপণ্য যেন সাধারণ মানুষের ক্রমক্ষমতার মধ্যে থাকে তেমন বাজার ব্যবস্থাপণা চায়। চাঁদাবাজি-ঘুষের বেরিকেড থেকে মুক্তি চায় সকলেই। যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, নতুন সরকারের কাছে পুরোনো প্রত্যাশা থেকে যায় সাধারণ জনতার। কোনভাবেই যেন ক্ষমতাধর মানুষ নিজেদেরকে এই দেশের সবকিছু মনে না করে, সে বিষয়টি পরিষ্কার করাও ভীষণ জরুরি। যারা ক্ষমতায় বসবেন নিঃসন্দেহে তারা গুনীজন। আর তাই, ক্ষমতা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। দেশ তথা মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে হবে; এমন সংকল্প মুখে নয় হৃদয়ে থাকা জরুরি। কেননা, এবারও শিক্ষার্থীরা দেখিয়ে দিয়েছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বৈরাচারের স্থান সীমিত বা নেই। একতরফাভাবে দেশ চালানোরও সুযোগ নেই। বলা বাহুল্য, অন্যায়-অপকর্ম করে পালিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু নিস্তার পাওয়ার সুযোগ নেই। দীর্ঘকাল নিজের ইচ্ছামতো ক্ষমতায় থাকলেও যে তাকে উৎখাত করা সম্ভব; শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সে শিক্ষা নিতে হবে ভবিতব্য ক্ষমতাধরদের। 

শুধু শিক্ষার্থী নয়, বৈষম্য চান না কেউ। এমন দাবি গোটা জাতির। সবাই চায়, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিবেক বোধ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করুক রাজনীতিবিদগণ। আমলাগণও জনগণের প্রকৃত সেবক হোক। কাজের নাম করে জনগণের পয়সায় বেতন নিয়ে রাজা সমতুল্য সেই সাধারণ মানুষদের হেলাফেলা পরবর্তীতে যেন আর না হয় সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করতে হবে। প্রয়োজনে আইন করে জনগণকে ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করার রীতি আঁস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলতে হবে। জনগণ যে প্রজা নয় রাজা, তার লিখিত দলিল জরুরি বলে মনে করেন বোদ্ধারা। প্রয়োজনে সংবিধানেও নতুন বিধি যুক্ত করা যেতে পারে। 

পৃথিবীর দুই শতাধিক রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ যেন আরও উপরে উঠে আসতে পারে সে মোতাবেক কাজ করতে হবে রাষ্ট্রযন্ত্র ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের। সুজলা-সুফলা এই দেশে সম্ভাবনার শেষ নেই। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনীতি, রাজনীতি, খেলাধুলা, শৃঙ্খলা ব্যবস্থা, নিরাপত্তা; সবকিছুতেই বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব। এর জন্য জরুরি একটি সৎ মানসিকতা। দেশের সেবা করতে চাওয়া প্রকৃত মানুষের ক্ষমতায় বসানো ভীষণ জরুরি। প্রতিটি ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি দায়িত্ব পেলেই যথাযথ উন্নয়ন বাধ্যমূলক এবং যা হবে গণমূখী। আর তাই, অন্যায় অপকর্ম বাদ দিয়ে প্রাণ প্রকৃতির যথাযথ উন্নতির দিকেই মনোযোগ দিতে হবে নতুন সরকারকে। মোলিক চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সাধারণ মানুষকে শতভাগ নিরাপত্তা দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এ সময়ে সর্বপ্রথম জরুরি, সকলের দাবি। সুন্দর একটি ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার জন্য  শিক্ষার পরিবেশ অতিদ্রুত নিরাপদ করতে হবে। অর্থনীতি শক্তিশালী করতে হলে ব্যাংকিং খাতকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শিল্প-কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক এবং শ্রমিকদের বেতনভাতা নিয়মিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কাওকে প্রশ্ন তোলার জায়গা দেওয়া যাবে না, ফেরাতে আস্থা। প্রশাসনকেও ঢেলে সাজানো অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রীয় অভিধান থেকে ‘ঘুষ’ বাণিজ্য চিরতরে দূর করতে হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতায় নজর দিতে হবে। মোদ্দা কথা, যে জায়গাগুলোতে সুষ্ঠু নজরদারি রাখলে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনবে সেসব ক্ষেত্রে কোন প্রকার হেলা চলবে না।

সব শেষে বলতেই হবে, দেশপ্রেমী মানুষ যেন বাংলাদেশের নাম নিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে গৌরব করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন প্রত্যয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করে দেখিয়ে দিতে হবে নতুন সরকার। তা না হলে, স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ আবার কোন একদিন পরাধীন হবে। আবার কোনদিন কোন স্বৈরাচার ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে বিদেশি ঋণের বোঝা চাপাবে, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অত্যাচার করবে। অদূর ভবিষ্যতে এমনটি যেন না ঘটে সেই প্রত্যাশা সকলের।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

([email protected])

(বাংলাভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার বাংলাভিশন নিবে না।)

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2