• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মুলুক চলো আন্দোলনে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ১০২ বছর!

পৌনে দু`শ বছরেও বদলায়নি চা শ্রমিকদের জীবন

মনজুরুল হক

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ২০ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পৌনে দু`শ বছরেও বদলায়নি চা শ্রমিকদের জীবন

আজও শ্রমিকরা ১২০ টাকার বেশি পাচ্ছে না।

বাংলাদেশে কোন সেক্টরের শ্রমিকদের উপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন হয় সে খতিয়ানের শেষ নেই। চূড়ান্ত বিচারে বাংলাদেশের প্রায় সকল সেক্টরের শ্রমিকদের নিপীড়ন করা হয়। সে নিপীড়ন কখনও কখনও দাস যুগের নিপীড়নের সমকক্ষ। তাই বেছে বের করা যাবে না। তবে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নিপীড়নের প্রতিবাদে শ্রমিক, সাধারণ মানুষ, বাম দল এবং তাদের কর্মিরা মাঝে মধ্যে প্রতিবাদ করেন। প্রতিরোধের চেষ্টাও করেন, কিন্তু চা-শ্রমিকরা সেই হতভাগা জনগোষ্ঠি; যাদের নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে কোনো প্রতিবাদসভা হয় না। প্রতিরোধ তো দূরের কথা। কেন? কারণ এই সমাজের মূল জনগোষ্ঠি নয়। আমাদের জনসাধারণের মধ্যে হয়ত হিন্দু ব্রাহ্মণদের মত জাত-পাতের বিভেদ নেই, কিন্তু ওই যে চা-শ্রমিকরা ভারত থেকে আগত হরিজন, তাই তারা আমাদের কেউ না! এমন না ভাবলে নিদেনপক্ষে চা-শ্রমিকদের নিদারুণ দুর্দশায় কিছুটা হলেও বাঙালি মন কেঁদে ওঠার কথা। না; তেমনটি ঘটে না। 


▪️
আমরা মানবেতিহাসের নৃশংসতম শ্রমিক অত্যচারের অজস্র কাহিনী শুনেছি। প্রাচীন মিশরীয় শ্রমিক অত্যাচার থেকে মধ্য যুগের বর্ণবাদ হয়ে আধুনিক কালের হলোকাস্ট দেখেছি। জালিয়ানওয়ালাবাগের নির্মম হত্যাকাণ্ড আমাদের গায়ের লোম খাড়া করে দেয়। কিন্তু ঘুমন্ত নারী-শিশুসমেত কয়েকশ’ মানুষকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যার দৃশ্য মানসপটে দাঁড়াতে পারে না! মুহূর্তে শিরা-উপশিরা বেয়ে রক্তচলাচল বাড়িয়ে দেয়। দুশ বছর পরও চা-বাগানের শ্রমিকরা শ্রমদাস, তাদের শরীরের রক্ত কালো লিকার হয়ে ঝরে ঝরে পড়ে! 

১৮৩৯ সালে এই অঞ্চলে চা বাগানের পত্তন হয়। প্রথমে আসামে। পরে সিলেটে, মৌলবীবাজারে, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামটিতে। চা বাগানে কাজ করে শ্রমিক ও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে পাঁচ লাখের মতো মানুষ তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি অবাঙালি।
▪️
ব্রিটিশ আমলে চা বাগান শুরু করার পর বাংলাদেশের মানুষদের দিয়ে চা বাগানে কাজ করানো যেত না। জঙ্গল কেটে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কেউ কাজ করতে চাইত না। তাই ব্রিটিশরা বিহার, উড়িষ্যা, অন্ধপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিক ধরে আনল। তারা সাঁওতাল, মুণ্ডা, কোল, ভীল, মাহালি, ওঁরাও, খাড়িয়া, কন্দ, মুসহর, রবিদাস, ভূমিজ, উড়িয়া, শীল, নায়েক, রাজপুত, অসমিয়া, ভর, লোহার, ডুকলা, পাইনকা, গঞ্জু, পাল, তাঁতি, বড়াইক, সিং, বাগদী, মাহাতো, তুরী, নিষাদ, দোসাদ, রাজোয়াড়, পাহাড়িয়া, মালো, মালী। এরা কেউ স্বেচ্ছায় আসেনি। তাদেরকে দাস হিসাবে ধরে আনা হয়েছিল। জাতি, গোত্র, বংশ, নাম, পরিচয় সব মুছে চা বাগানে এদের এক নতুন নাম হয় 'কুলি'। ছনের কুড়ে ঘরে গাদাগাদি করে থাকার ব্যবস্থা। অস্বাস্থ্যকর। অমানবিক। অসভ্য ব্যবস্থা।
▪️
দুর্গম জঙ্গল সাফ করে বাঘ, ভাল্লুক, বিষধর সাপ, মশা ও জোঁকসহ নানা বন্য প্রাণীর কামড়ে মৃত্যুবরণ করে তারা ব্রিটিশ সাহেবদের নতুন পাণীয় চায়ের যোগান দিতে থাকল। ব্রিটিশ সাহেবদের জন্য ও তাদের ম্যানেজারদের জন্য তৈরি করল সুদৃশ্য বাংলো। কিন্তু তাদের নিজের ঠাঁই হলো শ্রমিক কলোনির মাটির ঘরে। যে ঘরের নাম ‘কুলি লাইন’। আজ পৌণে দুশ বছর পরেও থাকার ব্যস্থার পরিবর্তন হয়নি। তাদের অনেকেই ডায়েরিয়া, কলেরা, গুটিবসন্তসহ রোগ-শোকে মারা পড়ল। 
▪️
তারা যেহেতু দাস, তাই তাদের থাকা-খাওয়া-হাগা-মোতা ছাড়া আর কোনো উপলক্ষ্য নাই। তাদের হাঁড়ভাঙা পরিশ্রম যেন কাবু করতে না পারে সে জন্য দেদার অস্বাস্থ্যকর চোলাই মদের যোগান হতে। সারাদিন গাধার খাটনি খেটে রাতে মদ গিলে বেহুশ হয়ে পড়ে থাকত ওরা। বাগান কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে শ্রমিকদের নিয়ে গিয়ে তাঁদের শ্রমদাস করে ফেলার জন্য একটি চুক্তি করত। চা-বাগানের অশিক্ষিত শ্রমিকরা একে বলত ‘গিরমিন্ট’। বহুদিন পর্যন্ত কোনও মজুরি ছিল না। দেওয়া হত টোকেন। প্রতিটি বাগানের জন্য আলাদা টি-টোকেন ছিল। বাগানের বাইরে তার কোনো মূল্য ছিল না। এই টোকেন দেখিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতেন চা-শ্রমিকেরা। অর্থাৎ বাগানে বেঁধে রাখার সব রকম ব্যবস্থাই ছিল পাকা। এরপর মজুরি হলো প্রথমে ১ পয়সা, পরে ৩ পয়সা।

ফ্ল্যাশব্যাক—১
সরকারি হিসাবেই প্রথম তিন বছরে যে ৮৪,৯১৫ জন শ্রমিক দাসকে ধরে আনা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ৩১,৮৭৬ জন পশুর আক্রমণে মারা যায়! এভাবেই জীবন কেটে যায় ভিন্ন সমাজ থেকে আসা ভিন্নভাষী দাস মানুষগুলোর। খাবার জোটে না, মুখে রক্ত তোলা খাটনি, ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যু; ক্রমশ চা শ্রমিকের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ভারতবাসী আন্দোলন করছে। তার আঁচ লাগল চা-শ্রমিকের গায়ে। তারাও সংঘাতে লিপ্ত হলো। বিশ্বযুদ্ধের পরে শ্রমিক-মালিক সংঘাত চরমে উঠল। শ্রমিকদের মজুরি বাড়ল না। বাড়ল অত্যাচার, ধর্ষণ, বেত্রাঘাত। তার প্রতিবাদে চা বাগানগুলোতে বিদ্রোহ শুরু হলো। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নির্যাতিত, বাগানে বন্দী চা মজুর স্লোগান তুললেন: মুল্লুক চলো ! ফিরে চলো নিজের জন্মস্থানে। শুরু হল ঐতিহাসিক মুল্লুক চলো আন্দোলন।
▪️
ভাবুন একবার! তারা কাউকে মারতে চাইছে না। কাটতে চাইছে না। আগুন জ্বালিয়ে ভষ্ম করতে চাইছে না। তীব্র অত্যচার, অবিচার, নৃশংসতা সইতে না পেরে বলছে—‘মুল্লুক চলো’! অর্থাৎ ‘বাড়ি চলো, বাড়ি যাব’! অথচ তাদের বাড়ি যেতে দেয়া হলো না। ওরা চলে গেলে চা উৎপাদনের কী হবে? সায়েবদের ঘরে ঘরে মেরুণ রঙের পানীয়র কী উপায় হবে? ব্রিটিশ বনেদিয়ানার কী হবে? এমন সস্তা শ্রমিক কোথায় পাবে? আর তাই ব্রিটিশ পুলিশের নির্দেশে শ্রমিকদের ট্রেনে উঠতে দেওয়া হল না। আটকানো হল জলপথ। কিন্তু শ্রমিকরা পণ করেছে; ঘরে ফিরবেই তাই শুরু হল হাঁটা। করিমগঞ্জ, ধলই, কাছাড় ভ্যালি, ব্রহ্মপুত্র ভ্যালি ও সিলেট ভ্যালির বিভিন্ন চা বাগান থেকে হাজার হাজার চা শ্রমিক রেললাইন ধরে চাঁদপুরের মেঘনা ঘাটের উদ্দেশে হাঁটতে শুরু করল। তারা জানে চাঁদপুরে পৌঁছতে পারলে স্টীমারে কলকতা যাওয়া যাবে! কাছাড় ও সিলেটের প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক রেল লাইন ধরে দিনের পর দিন হাঁটতে হাঁটতে নদী বন্দর চাঁদপুরে পৌঁছে গেল। রাস্তায় অনেকে মারা গেল অনাহারে, বিনা চিকিৎসায়, অসুখে। তার পরও তাদের হাঁটা থামেনি।
▪️
ফ্ল্যাশব্যাক—২
উত্তেজিত মালিকরা চাঁদপুরে ওদের রুখতে চাইল। বাগান কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ম্যাকফারসন সাহেব হাজির হল শ্রমিকদের সামনে। সঙ্গে সশস্ত্র সেনা এবং পুলিশ। ১৯ মে জাহাজে উঠতে চাওয়া শ্রমিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল সশস্ত্র সৈন্যরা। শুরু হল বীভৎস নির্যাতন। জাহাজের পাটাতন সরিয়ে দেওয়া হল। শত শত শিশু, বৃদ্ধ ও নারী-সহ বহু শ্রমিক ভেসে গেল মেঘনার জলে। বর্ণনার অতীত সেই হিংস্রতা! এর পরেও শ্রমিকরা দমে যায়নি। স্বজন হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়েই তাঁরা তখনও বাড়ি ফেরার যুদ্ধ করে চলেছে। এর পর পরই ঘটল সেই ঐতিহাসিক লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড।
▪️
২০ মে, ১৯২১ তারিখের রাতে শ্রমিকদের চাঁদপুর স্টেশন থেকে স্টিমারে গাদাগাদি করে যাত্রা শুরু করার কথা। সন্ধ্যা থেকেই আশেপাশের জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এনে স্টেশন ঘিরে ফেলে ব্রিটিশরা। রাতের দিকে সমস্ত রেলকর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হল স্টেশন থেকে। মধ্যরাত্রে হাজার হাজার শ্রমিক যখন স্টেশনের প্লাটফর্মে ঘুমিয়ে আছে, তখন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির গুর্খা রেজিমেন্টের সৈন্যরা বেয়নেট দিয়ে নারী, পুরুষ, শিশু নির্বিশেষে শ্রমিকদের খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করল। দুধের শিশু থেকে শুরু করে স্ত্রী, পুরুষ, বৃদ্ধ কাউকে রেহাই দেওয়া হল না। অসংখ্য শ্রমিককে নদীতে ফেলে হত্যা করা হল। শত শত লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হল। গণহত্যার পর অবশিষ্ট শ্রমিকদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হল চা বাগানে। আবারও ছুড়ে ফেলা হল লেবার লাইনের অন্ধকূপে। চক্রকারে ঘুরতে থাকল বন্দী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার স্বপ্ন ঘুড়ি।
 ▪️
এই ঘটনা যদি বিস্ময় হয় তাহলে মহাবিস্ময় হচ্ছে এতবড় একটা এথনিক ক্লিঞ্জিং হলো, এত এত মানুষের করুণ মৃত্যু হলো, বিশ্বের নৃশংসতার ইতিহাসে প্রথম সারিতে স্থান পেল এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। অথচ সেই চাঁদপুরে চা-শ্রমিকদের আত্মাহুতির কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই! মৌলবীবাজারে একটা বেঢপ ভাস্কর্য বানিয়ে লিখে রাখা হয়েছে—‘মুল্লুক চলো আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে’।
▪️
১৯২১ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি ছিলো ব্রিটিশ ১ পয়সা। সে সময়ের নিরীখে ১ স্টার্লিং মানে আজকের ১ পাউণ্ড। এক পাউণ্ড মানে আজকের ১২০ টাকা। এবং বিস্ময়করভাবে আজকেও চা-শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা! তার মানে ১০২ বছরেও চা-শমিকদের মজুরি এক পয়সাও বাড়েনি! 
▪️ এখন যে ১২০ টাকা মজুরি, সেটাও শর্তযুক্ত। ২৩ কেজি পাতা তুলে জমা দিলে ১২০ টাকা পাবে। ১ কেজি কম তুললে ১০ টাকা কমে যাবে। ২ কেজি কমে ২০ টাকা নেই!
▪️ তখন ব্রিটিশ ম্যানেজারের রুমে চা-শ্রমিকরা সামনা সামনি ঢুকে দাঁড়াতে পারত না। হাঁটু গেড়ে বসতে হতো। আবার বেরিয়ে আসার সময় পেছন ফেরা যেত না। পেছনে হেঁটে বেরুতে হতো। ব্রিটিশ ম্যানেজার বদলে পাকিস্তানি ম্যানেজার হয়ে আজ বাঙালি ম্যানেজার, অথচ আজও সেই নিয়ম বহাল।
▪️ চা-শ্রমিকদের কোনো রাজনৈতিক সংগঠন করতে দেয়া হয় না। সমিতিও না। কিছু এনজিও কাজ করে স্বাস্থ্য আর হ্যান-ত্যান নিয়ে।
▪️ বাংলাদেশের আইন অনুয়ায়ী এখন চা-শ্রমিকদের মজুরি সর্বনিম্ন। এমনকি হোটেলের অস্থায়ী নাবালক বেয়ারার চেয়েও কম।
▪️ দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে সবচেয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন চায়ের। চা নিয়ে বাঙালির কাব্যের অন্ত নেই। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে চায়ের ব্লেন্ড এক মাদকতার সৃষ্টি করে। অথচ স্বাধীন দেশের বয়স ৫০ হয়ে গেলেও চা-শ্রমিকদের দাসানুদাস আইডেন্টিটির পরিবর্তন হয়নি।
▪️ চাঁদপুর হত্যাকাণ্ডের কোনো ট্রায়াল-বিচার-শাস্তি কিচ্ছু হয়নি। আজও চা-বাগানের ঘন ঝোঁপের ভেতরে নৃশংসভাবে হত্যা করা মুণ্ডা, কোল, ভীল, মাহালি, ওঁরাও, খাড়িয়া, কন্দ, মুসহর, রবিদাস, ভূমিজ, উড়িয়া, শীল, নায়েক, রাজপুত, অসমিয়া, ভর, লোহার, ডুকলা, পাইনকা, গঞ্জু, পাল, তাঁতি, বড়াইক, সিং, বাগদী, মাহাতো, কৈরী শ্রমিকদের অতৃপ্ত আত্মা কেঁদে ফেরে….।
▪️ এটা পরিষ্কার; ওই চা-শ্রমিকরা ক্ষমতাহীন, একতাহীন ভিনদেশি দেহাতি অবাঙালি হওয়ায় তাদেরকে ব্রিটিশ, পাকিস্তানি এবং জাত্যাভিমানী হালের বাঙালি মালিকশ্রেণি মানুষ বলেই গণ্য করেনি। করে না।
ক্লোন কিংবা ব্লেন্ড চায়ের কাপে নরোম টোঁট ঠেকিয়ে আলতো করে চুমুক দেয়ার সময় কী একটু খারাপ লাগছে? লাগে। আমারও লাগে। তাই মনে করতে চাই না। অনেক অব্যক্ত যন্ত্রণার মত এই যন্ত্রণাও ভুলে থাকতে চাই। পারি কী? হয়ত পারি।


দিনে ১২০ টাকার বদলে মাত্র ৩০০ টাকার দাবীতে সারা দেশের চা-শ্রমিকরা ধর্মঘট করছে। ধর্মঘটে আপনার-আমার পূর্ণ সমর্থন বা 'পাশে আছি'তে কিচ্ছু আসে-যায় না। জরুরি হলো তাদের ধর্মঘটের সমর্থনে অন্যান্য সেক্টরের শ্রমিক সংগঠনগুলোরও ধর্মঘট ডাকা। সেটা এখনও হয়নি। ৩০০ টাকার দাবিতে করা আন্দোলন সরকারি আশ্বাসে স্তিমিত হয়েছে এক বছর হলো। আজও শ্রমিকরা ৩শ টাকা দূরের কথা, ১২০ টাকার বেশি পাচ্ছে না। সরকারের ফাঁপা আশ্বাস যে মালিক শ্রেণিকে রক্ষা করা জন্য সেটা এখন প্রমাণিত।


 

মন্তব্য করুন: