তৈমূরকে নিয়ে কী ভাবছে বিএনপি?

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদে নির্বাচনকারী তৈমূর আলম খন্দকারকে আবার বিএনপিতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই বিষয়ে বিএনপি’র এখনো কোনো চিন্তা-ভাবনা নাই।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশান বিএনপি’র চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে বিএনপি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন একটি দরকারি জিনিস। কিন্তু নির্বাচনের নামে যদি প্রহসন চলে তাহলে সমালোচনা থাকবেই।
আরও পড়ুন:
শিমু হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, মুখ খুললেন জায়েদ খান
বাবার জানাজায় হুইপ স্বপনসহ ফোন খোয়ালেন সাত জন
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী’র কাছে ৬৬ হাজার ৫৩৫ ভোটের ব্যবধানে তৈমূর আলম খন্দকার হেরে যান। নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯২টি কেন্দ্রে আইভী পেয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট আর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।
২০১৬-এ বিএনপি’র ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের পর তৈমূর আলম খন্দকারকে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে সেই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগে একই কারণে গত ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। তাঁর স্থলে মনিরুল ইসলাম রবিকে জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০-এর ৩০ ডিসেম্বর তৈমূরকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি করা হয়েছিলো।
গেলো বছরের একেবারে শেষদিকে কেন্দ্রের সাংগঠিনক পদ থেকে খুলনার নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সরিয়ে দেয় বিএনপি। প্রায় একই সময়ে কেন্দ্রের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বিএনপি’র আরেক নেতা ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে। নতুন বছরের শুরুতেই এই তালিকায় যুক্ত হলো তৈমূর আলম খন্দকার-এর নাম।
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী শিমু হত্যাঃ দায় স্বীকার করেছেন স্বামী
তৈমূরকে নিয়ে কী ভাবছে বিএনপি?
৯০ বছর বয়সে ৪০ বছরের নারীকে বিয়ে করলেন আইনজীবী
বিভি/এনএম/রিসি
মন্তব্য করুন: