• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ সাবেক এমপি আউয়াল পরিবারের বিরুদ্ধে (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ২৬ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ২৩:২২, ২৬ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ সাবেক এমপি আউয়াল পরিবারের বিরুদ্ধে (ভিডিও)

পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম এ আউয়াল। তিনি পিরোজপুর জেলার বয়জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক। দুর্নীতি আর নানা অপকর্ম তার রাজনৈতিক জীবনের সব শ্রেষ্ঠ অর্জন ইতিমধ্যেই ম্লান করে দিয়েছে। সংসদ সদস্য থেকে এখন তিনি দুদকের একাধিক মামলার আসামী। নিজের ও স্ত্রীর স্থাবর অস্থাবর সবসম্পত্তি আদালতে নির্দেশে জব্দ করেছে দুদক। কারণ সংস্থাটির অনুসন্ধান ও তদন্তে উঠে এসেছে, তাদের অর্জিত বেশিরভাগ সম্পদই অবৈধ। 

পিরোজপুরের প্রভাবশালী সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও তথ্য গোপনের দায়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে একে একে ৫টি মামলা করে রাষ্ট্রের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা দুদক। যার মধ্যে দুটি মানি লন্ডারিং, ৩টি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা। এখন পর্যন্ত জমা দেয়া ৩টি মামলার তদন্তে সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। 

দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এ. কে. এম. আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পদ জব্দ বা ক্রোকের নির্দেশনা রয়েছে আদালতের। শুধু স্বামী-স্ত্রীই নন, ক্ষমতার দাপটে পরিবার অন্য সদস্যরাও বেপরোয়া। দুদকে মামলা রয়েছে তাঁর ছোট ভাই পিরোজপুর সদর পৌরসভার বর্তমান মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের বিরুদ্ধেও।

২০২০ সালের মার্চের শুরুতে একেএমএ আউয়াল পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তিনটি মামলায় ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন একটি মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঐ দিনই এই আদেশের কিছুক্ষণ পরই বিচারক আব্দুল মান্নানকে বদলি করিয়ে যুগ্ম জজ নাহিদ পারভীনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ হিসেবে বসিয়ে আউয়াল এবং তার স্ত্রীর জামিন নেন। বিচার বিভাগের ওপর সাবেক এমপি আউয়ালের এমন প্রভাব ও ক্ষমতা প্রদর্শন নিয়ে ঐ সময় দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিলো।

দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, দুদক আইনের ৪০৯ ধারা অনুযায়ী আউয়াল পরিবারের দুর্নীতি মামলা প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। একেএমএ আউয়াল পরিবারের জামিন কেন বাতিল হবে না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালত রুল জারি করেছেন বলেও জানান দুদক আইনজীবী। 

দুর্নীতির আষ্টেপিষ্ঠে জড়িত থাকায় সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হন একেএম এ আউয়াল। তবে তিনি এবার বসতে চান জেলা পরিষদের প্রশাসকের চেয়ারে। এরইমধ্যে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নীতি নৈতিকতার কথা হলো, কোনোভাবেই এসব ব্যক্তিদেরকে নিয়োগ দেয়া যৌক্তিক হবে না। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যাক্তি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলে তা হবে লজ্জাজনক। 

মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় গত ১৭ এপ্রিল দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের পর্ষদগুলো বিলুপ্ত করেছে সরকার। এসব পরিষদে নির্বাচন অনুষ্টানের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন কমিশন ও সকল জেলা প্রশসাককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
 

বিভি/এনএম

মন্তব্য করুন: