• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কী না তা জানালেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২০:৫০, ১০ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ২১:৩১, ১০ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কী না তা জানালেন আইনমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আপাতত যে আইন আছে তাতে মনে হয় না যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭ তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে আছেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে তার দণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইন যা বলে, তা–ই হবে। আইন যদি বলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন, তাহলে তিনি করবেন। আর আইনে যদি বলে, তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না, তাহলে তিনি তা করতে পারবেন না। আপাতত যে আইন আছে তাতে মনে হয় না যে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ (২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনের সঙ্গে জড়িত ফৌজদারি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য বা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। অথবা যিনি কমপক্ষে ২ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন, যদি না তার মুক্তির পর থেকে ৫ বছর সময় অতিবাহিত হয়। তাহলে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। তিনি (খালেদা জিয়া) তো আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত।’

বিএনপির আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করে তা শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এর ফল কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কী করবেন, আর কী করবেন না, আমি কি সে জন্য তাদের উপদেশ দেব? তারা আপিল শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছেন না, তার কৈফিয়ত যদি আমাকে দিতে হয়, তাহলে তো সেটা অযৌক্তিক হবে।’

উল্লেখ্য যে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা। পরের বছর ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলায় তার আপিল খারিজ করে শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

এছাড়া, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার তার কারাদণ্ড ৬ মাসের জন্য স্থগিত করার পর কারাগার থেকে মুক্তি পান খালেদা। খালেদা এখন তার গুলশানের বাসায় আছেন। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) সরকার তার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ৬ মাসের জন্য বাড়িয়েছে।

একই অনুষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এ আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এ আইন করাই হয়েছে শুধু সাইবার অপরাধ দমন করার জন্য। বাক্‌স্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য এ আইন করা হয়নি। 

আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সম্প্রতি যে ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর নাম ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে  কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানান আইনমন্ত্রী।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: