• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

একই বাতাসে জামায়াতের সঙ্গে নিঃশ্বাসও নেবো না: তারানা হালিম

সৈয়দ সাকিব, রাবি

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ২৫ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
একই বাতাসে জামায়াতের সঙ্গে নিঃশ্বাসও নেবো না: তারানা হালিম

একই বাতাসে জামায়াতের সঙ্গে নিঃশ্বাসও নেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারানা হালিম।

জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ান বাংলাদেশের আয়োজনে একটি আলোচনা সভায় তারানা হালিম বলেন, ‘গণহত্যাকে স্বীকৃতি না দেবার পিছনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হয়েছে। এতে করে তৈরি হয়েছে একটি বিভাজন। যার নেতৃত্বে আছে জামায়াত-শিবির।’

জামায়াত-শিবিরকে বয়কটের ডাক দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান তরুণ প্রজন্ম সামাজিকভাবে জামায়াত-শিবিরকে বয়কট করেছে। আমরা কোনো দাওয়াতে, কোনো আত্মীয়তার সম্পর্কে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে একত্রিত হতে রাজি নই। এইভাবেই তাদের বয়কট করতে হবে।’

‘একটি মানুষকে হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড হয়। আমার দেশের ত্রিশ লাখ মানুষকে যারা হত্যা করেছে, হত্যাকাণ্ডের সহযোগিতা করেছে, তাদের কেন ক্ষমা করে দিবো? যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ভি চিহ্ন দেখিয়ে আমাদেরকে ব্যাঙ্গ করেছে, তাকে ক্ষমা করে দিবো?’ এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ান বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মো. রশীদুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আজম, শহীদ বুদ্ধিজীবী চিকিৎসক ডা. এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরীর কন্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা, এবং রাবির উপ-উপাচার্যদ্বয় ড. সুলতান-উল-ইসলাম এবং ড. হুমায়ুন কবীর।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আজম বলেন, ‘৫টি দশক পেরিয়ে গেলেও আমরা পাকিস্তানিদের নারকীর হত্যার স্বীকৃতি পাইনি। ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে সামরিক অভিযানটি পরিচালনা করেছিল সেখানে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। আপনারা যদি দেখেন, ব্রাজিলে একটি গোষ্ঠীকে নিধন করার জন্য ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছিল, পরবর্তীতে তা কোর্টে জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতিসংঘ জেনোসাইড কনভেনশন এডপ্ট করেছে। শুধু ২৫ মার্চই নয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাসে যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তারপরও কেন এটিকে জেনোসাইড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হবে না? জাতিসংঘ জেনোসাইড কনভেনশন অনুসারে দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানান তিনি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী চিকিৎসক ডা. এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরীর কন্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা তাঁর বক্তব্যে বলেন, খুবই দুঃখ লাগে যখন কেউ কেউ প্রশ্ন উঠান, এটি কি আদৌ গণহত্যা হয়েছিল? ৫ দশক পেরিয়ে গেলেও গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। জাতীয় গণহত্যা দিবসটি কার্যকর হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু এটি নিয়ে এখনও অনেকের ধারণাগত অস্পষ্টতা আছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে ডা. নুজহাত বলেন, একজন বিরোধী দলীয় নেতা হয়ে হত্যার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু এখন তো আমাদের দেশের বধ্যভূমিগুলোর ম্যাপিং হচ্ছে, সেগুলোর পরিসংখ্যানেও দেখা গেছে যে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। সুতরাং সংখ্যা নিয়ে কোনো তর্ক বা বিতর্কের সুযোগ নেই।

রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলকে তো আমরা দাবি জানাচ্ছি কিন্তু আমরা বাঙ্গালিরা সবাই কি বলছি, জেনোসাইড হয়েছে? ১৯৭১ সনে তো রাজাকার, আল-বদর এত ছিলো না, কিভাবে ওরা পরবর্তীতে সংগঠিত হলো? বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও, তাঁর আলো সর্বত্র বিরাজমান। সেই আলো দিয়েই আমরা সকল বাঁধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাবো।’

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2