• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বিয়ে-পরিবার সংক্রান্ত রাসুল (সা.) যে হাদীসগুলো জানা জরুরি

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
বিয়ে-পরিবার সংক্রান্ত রাসুল (সা.) যে হাদীসগুলো জানা জরুরি

নারী-পুরুষের সামাজিক বন্ধন তৈরির শরীয়ত সম্মত বিধান হলো বিয়ে। আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষের মধ্যে বিবাহের বিধান দিয়েছেন মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে। সেই সঙ্গে নারী-পুরুষের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য। মহানবী (সা.) নিজেও তার চলার পথে বিয়ে সংক্রান্ত বহু কথা বলে গেছেন উম্মতের জন্য।

তবে বিয়ে করা যে সব সময় ফরজ বিষয়টা এরকম না। কিছু সময় আছে যখন বিয়ে করা নিষিদ্ধও বটে। তবে এসব জানার আগে চলুন জেনে নিই বিয়ে সংক্রান্ত হাদীসগুলো।

১. হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে : ‘তোমরা কুমারী ও অধিক সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীদের বিয়ে করো। কেননা কেয়ামতের দিন আমি আমার উম্মতের সংখ্যার আধিক্য দিয়ে অন্যান্য উম্মতের ওপর গর্ব করব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২০৫০)

২. বুখারি শরীফের ১৯০৫ এবং মুসলিম শরীফের ১৪০০ নম্বর হাদীস অনুযায়ী- ‘হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা (আর্থিক ও দৈহিকভাবে) বিবাহ করতে সক্ষম, সে যেন বিয়ে করে। কেননা এটি চক্ষু শীতল করে ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। আর যে অক্ষম, তার জন্য রোজা রাখা জরুরি। এই রোজা তার জন্য জৈবিক চাহিদা প্রতিরোধক।’

৩. মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই ঠোঁটের মাঝখান (জিহ্বা) ও দুই রানের মাঝখান (লজ্জাস্থান) নিরাপদ রাখার বিষয়ে গ্যারান্টি দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের গ্যারান্টি দিচ্ছি।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৬৪৭৪) লজ্জাস্থানের হেফাজতের অন্যতম উপায় হলো বিবাহ। এতে করে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের লজ্জাস্থান হেফাজত করতে পারেন।

৪. মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে একজন নেককার স্ত্রী দান করেছেন, তিনি তাকে ইসলামের পথে অর্ধেক অগ্রসর করে দিয়েছেন। এবার অবশিষ্ট অর্ধেকের জন্য তার উচিত আল্লাহকে ভয় করা।’ (মুসতাদরাক হাকেম : ২/১৬১) ইমাম জাহাবি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।

৫. নাসাঈ এর ৭০ নং হাদিস বলছে, ‘আয়েশা (রা.) পেয়ালার যেখানে মুখ রেখে পান করতেন, রাসুল (সা.) সেখানে মুখ রেখে পান করতেন এবং একই হাড্ডির গোশত আয়েশা (রা.) খেয়ে রাসুল (সা.)-এর হাতে দিলে রাসুল (সা.) সেখান থেকেই খেতেন, যেখান থেকে আয়েশা (রা.) খেয়েছেন।’ এ ধরণের পারিবারিক ভালোবাসার পরিবেশ পেতে বিযে আবশ্যক।

৬. মুসলিম শরিফের ১৬৩১ নং  হাদিসে বর্ণিত: ‘মানুষ যখন মারা যায়, তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিন ব্যক্তির আমল চলমান থাকে। এক. সদকায়ে জারিয়ামূলক কাজকর্ম (যেমন—মসজিদ, মাদ্রাসা করা, রাস্তাঘাট করা, মানবসেবায় কোনো কাজ করা)। দুই. তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, যা থেকে মানুষ উপকৃত হয়। তিন. নেক সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করতে থাকে। এখন কথা হলো সন্তান প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই বিয়ে দরকার।

৭ . হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আক্কাফ (রা.)কে বললেন, হে আক্কাফ! তোমার স্ত্রী আছে? তিনি বললেন, না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমার কি সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে? তিনি বললেন, আছে। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তুমি এখন শয়তানের ভাইদের দলভূক্ত। যদি তুমি খ্রিস্টান হতে তবে তাদের রাহেব (ধর্ম গুরু) হতে। নিঃসন্দেহে বিয়ে করা আমাদের ধর্মের রীতি। তোমরা কি শয়তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাও? শয়তানের কাছে নারী হলো অস্ত্র।

মানব জীবনে বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। ইসলামে বিয়েকে ঈমানের অর্ধেক বলা হয়েছে। বিয়ের মাধ্যমেই ঈমানের পূর্ণতা পাওয়া যায়। বিয়ে মানব জীবনের অন্যতম চাহিদাও বটে। তাই সাধ্য থাকলে বিয়ে করে ফেলুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পাপ থেকে মুক্ত রাখুন। আ...মি...ন।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: