তৃতীয় দিনেও অনড় জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, জুমার পর আবারও উত্তাল কাকরাইল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টানা তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জুমার পর জড়ো হয়েছে জবিয়ানরা। আবারও স্লোগানে উত্তাল কাকরাইল। তবে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে আসেনি কোনো বার্তা।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০টা থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। জুমার নামাজের পরে গণঅনশন শুরু করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের বেলায় করা হয় লাঠিচার্জ। আর ঢাবি থেকে কেউ আসলে তার জন্য ঠান্ডা পানি ছিটানো হয়। আমাদের দাবি যৌক্তিক দাবি। আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, 'আমরা মোড়ে আসা মাত্রই অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের ওপর গুলি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কোনো বার্তা আসেনি।'
আরেক শিক্ষার্থী আবু তালহা বলেন, 'জুমার পর থেকে আমরা গণঅনশনে বসব। আমাদের দাবি না মানার সুযোগ নেই।'
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে আলোচনার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাসায় দীর্ঘসময় বৈঠক করলেও কোনো সমাধানে আসতে পারেননি । পরবর্তীতে যমুনার সামনে যান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন।
এর আগে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওয়ানা হন। পদযাত্রা প্রথমে গুলিস্তান মাজার গেইটে বাঁধার সম্মুখীন হয়। পরে মৎস ভবনে ফের পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকেন জবি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে আসতেই অতর্কিত টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: