আশরাফুলকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব বিসিবির, আলোচনায় ফিক্সিং ইস্যু

বাংলাদেশের ক্রিকেটের আশার ফুল নামে খ্যাত আশরাফুলকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি। তবে এই প্রস্তাব সংবাদ মাধ্যমে আসার পরই সামনে আসছে আশরাফুলের ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যু। অনেকেই বলছেন, ফিক্সিংয়ে শাস্তি পাওয়া কেউ কোচ হলে বিতর্কিত হতে পারে।
গত বছরের নভেম্বরে গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের প্রধান সহকারি কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এরপর বিপিএলেও একই দায়িত্বে ফ্রাঞ্চাইজিটির সঙ্গে কাজ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এরপর ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটেও কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এবার জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য তাকে প্রস্তাব দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবি থেকে প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশরাফুল নিজেই। দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে আশরাফুল জানান, ‘হ্যাঁ, বোর্ড থেকে কোচ হওয়াত জন্য আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনো তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
তবে প্রস্তাব পেলেও সবকিছু এখনও আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে। তাছাড়া কোন ভূমিকায় তাকে দেখা যেতে পারে সেটা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন এই সাবেক ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘কিছুই চূড়ান্ত হয়নি, সবকিছুই আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে কথা চলছিল। তবে আমার দায়িত্ব ব্যাটিং কোচ হিসেবে নাকি অন্য কোনো ভূমিকায় সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।’
সবশেষ জিএসএলে প্রধান সহকারি কোচের দায়িত্ব পালন করে রংপুরের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন আশরাফুল। এরপর বিপিএলে রংপুর শিরোপার ছোঁয়া না পেলেও দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছিল।
এদিকে বিসিবি সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি কোচদের পাশাপাশি দেশি কোচদের পথেও হাটছে। গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে যুক্ত হন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। শুরুতে অল্প সময়ের জন্য জাতীয় দলে দায়িত্ব পেয়েছিলেন সালাউদ্দিন। তবে তাকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে দলের সঙ্গে রেখে দিয়েছে বোর্ড। আগামী ২০২৭ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকবেন তিনি।
২০১৩ সালের বিপিএলের স্পট ফিক্সিং-কাণ্ড আশরাফুলের ক্যারিয়ারে যে কালো ছায়া ফেলে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় থেকে তিনি হয়ে গিয়েছিলেন ‘ভিলেন’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন আট বছরের জন্য। তাই তার কোচ হওয়াটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অনেকেই।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: