• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

ছুটির দিনে লাখো পর্যটকদের পদভারে কম্পিত বালুকাবেলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:০৯, ৭ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
ছুটির দিনে লাখো পর্যটকদের পদভারে কম্পিত বালুকাবেলা

সৈকত শহর কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগে আলোচনা-সমালোচনায় নড়ে-চড়ে উঠেছিলো হোটেল-মোটেলসহ প্রশাসন। এসব ঘটনায় পর্যটকরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন পর্যটনের এ শহর থেকে। তবে সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা ভুলে আবারও পর্যটকের আগমন বাড়ছে। 

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) লাখো পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকতের বালুকাবেলায়। এতে কয়েক দিনের চলমান অনিশ্চয়তা কাটিয়ে প্রাণ ফিরেছে পর্যটন শহর। 

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কথিত নারী পর্যটক ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারে আশানুরূপ পর্যটক আসেননি। গত এক সপ্তাহেও তেমন পর্যকের দেখা মেলেনি। এমনকি বৃহস্পতিবারেও পর্যটকের অগ্রীম সাড়া মেলেনি। বৃহস্পতিবার কিছু পর্যটক কক্সবাজারে আসেন। শুক্রবার ভোরের দিকে বিপুল পর্যটকের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে কক্সবাজার।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সেক্রেটারি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরের দিকে বহু পর্যটক কক্সবাজারের আসেন। অধিকাংশ পর্যটক অগ্রীম বুকিং না করেই কক্সবাজার এসেছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধ ও কলাতলী পয়েন্টে বহু পর্যটকের সমাগম হয়। পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনদের নিয়ে সৈকতে ঘুরতে দেখা যায় পর্যটকদের। সমুদ্রস্নান করে, ঘোড়ায় চড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তারা। 

হঠাৎ পর্যটক আসায় পর্যটন ব্যবসায় চাঙ্গাভাব ফিরেছে। অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ব্যবসায়ীদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। 

লাবণী পয়েন্টের ব্যবসায়ী মাহমুদুল হক বলেন, হঠাৎ পর্যটক আগমনে ভাটা পড়ায় বেশ ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা কেটে গেছে বলে মনে হচ্ছে। এতে আমরা কিছু আশান্বিত হয়েছি।     

হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সুলতান বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে গলাকাটা বাণিজ্য ও ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা হয়েছে। মূলত ঘটনা যতোটুকু নয়; তার চেয়ে বেশি প্রচার করা হয়েছে। সেই কারণে পর্যটকদের মাঝে ভীতি তৈরি হয়েছিলো। তবে তা কেটে যেতে শুরু করেছে। হয়তো শিগগিরই তা পুরো কেটে যাবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঘাটতি নেই। সবখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। পর্যটকের কোনো ধরনের সমস্যা বা বেড়াতে ব্যাঘাত হতে দেওয়া হবে না। আমরা বলতে চাই, পর্যটকেরা কক্সবাজারে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিশ্চিন্তে বেড়াতে পারছেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে, তা বিচ্ছিন্নভাবেই ঘটেছে। তারপরও বিষয়টিগুলোকে বেশ গুরুত্বের সংগে নিয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সাতটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের জন্য  সবোর্চ্চভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিভি/এমআরকে/এসডি

মন্তব্য করুন: