সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে বিকল্প সড়ক না করেই লাপাত্তা ঠিকাদার

বৃষ্টির অযুহাতে খালের উপর সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে বিকল্প সড়ক না করেই লাপাত্তা ঠিকাদার। স্থানীয়দের অভিযোগ, রূপগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি'র কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলায় রূপগঞ্জ-পূর্বাচল সংযোগ সড়ক অচল থাকায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
জানা যায়, ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গত ৩ বছর ধরে চলছে ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের রূপগঞ্জ সদর থেকে পূর্বাচল ৩শ ফুট সড়ক সংযোগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ কাজ। একটি মুশুরী থেকে পূর্বাচলের ২নং সেক্টর দিয়ে ৩শ ফুট সড়কের জলসিড়ি চত্ত্বর অপরটি মুশুরী থেকে ভক্তবাড়ি বাজার হয়ে ব্রাহ্মণখালী এলাকায় পূর্বাচল নতুন শহরের ৩ নং সেক্টরে মিলিত হয়েছে। বরাদ্দ অর্থে এ সড়কের মুশুরী, ভিংরাবো আর উত্তর ব্রাহ্মণখালী এলাকায় ৩ টি খালের উপর ৩টি সেতু নির্মাণ করার কথা। সেই সুবাদে গত বছরের শীতে পুরনো সেতু ভেঙে দিয়েছে এলজিইডির নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কোম্পানী এনডিই।
এদিকে, সময়মতো ওই সেতু তিনটি হলে ভোগান্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু, সেতু ভেঙে বিকল্প সড়ক না করেই ঠিকাদার লাপাত্তার ঘটনায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন রূপগঞ্জের প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দা। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, পূর্বাচলের কাঞ্চন ব্রিজের সংযোগ থেকে রূপগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া, থানা পুলিশের কাছ থেকে আইনি সেবা নেওয়া, সাব-রেজিস্টার অফিস থেকে দলিল সম্পাদন, ডাক বিভাগের সেবা নিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। গত ৮ বছর এ সড়কটি খানাখন্দে থাকলে গত ২ বছর পূর্বে ৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে কাজ শুরু হয়। কিন্তু, সময় মতো সড়কের কাজ করার একদিকে ভোগান্তি পোহাচ্ছিলো। এখন এ সড়কের কাজ প্রায় শেষ। দু’একটি স্থানে আংশিক বাকি। কিন্তু, ৩ টি খালে ৩টি সেতু নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে আর বিকল্প সড়ক পাকাপোক্ত না করায় ভোগান্তি বেড়েছে।
প্রাচীন একটি খালের উপর সেতু ছিলো সরু, ফলে তা ভেঙে ফেলা হয়েছে প্রশস্ততা বাড়ানোর জন্যে। কিন্তু, ঠিকাদার আর উপজেলা প্রকৌশলীদের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকায় তার কাজ ফেলে রেখেছে। তবে, দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে বৃষ্টি শেষ হলে দ্রুত কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, রূপগঞ্জের এ সড়ক নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিমানবন্দর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের যাতায়াতের কারণে সব সময় যানজট তৈরি হয়। আবার থানার সামনে পানি জমে থাকায় অটো রিকশা, সিএনজি উল্টে আহতের ঘটনা ঘটছে। তাই, দ্রুত এ সড়ক ও সেতুর কাজ শেষ করা জরুরি বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: