আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার পরও বহাল তবিয়তে রায়হান কবির

বেসরকারি খাতের সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ২৩২ কোটি টাকা ফেরত না দেওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এর শেয়ার হোল্ডার রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ব্যাংকটি। মামলার পর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিও করেছে। তবুও রায়হান কবির আছেন বহাল তবিয়তে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৩২ কোটি টাকা ফেরত দেয়নি আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ব্যাংকের মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যাংকটির ফাউন্ডেশন ও গ্রিন স্কুলের তহবিলও প্রতিষ্ঠানটিতে আটকা পড়েছে। মেয়াদি আমানত ও কলমানি হিসেবে এ অর্থ ধার দিয়েছিল ব্যাংকটি। টাকা ফেরত চেয়ে বারবার চিঠি দেয়া হলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি থেকে কোনো সাড়া মিলছে না। মূল অর্থের পাশাপাশি সুদও পরিশোধ করছে না বে লিজিং।
বে লিজিং মূলত সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগম বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ২০ বছর সাইথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন আলমগীর কবির। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
এদিকে আলমগীর কবির ও তার ছেলে রায়হান কবির এবং রায়হান কবিরের স্ত্রী নুসরাত নাহারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, বিদেশি নাগরিকত্ব গোপন, অর্থ পাচার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকায় তাদের এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আলমগীর কবির ও রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে উক্ত ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
আলমগীর কবির ও তার ছেলে রায়হান কবির এবং রায়হান কবিরের স্ত্রী নুসরাত নাহার এর বিষয়ে গঠিত অনুসন্ধান টিমের হেড ও দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হকের কাছে অনুসন্ধানের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। তারা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: