বিওয়াইএলসি স্নাতকোত্তর অনুষ্ঠান ২০২৫ আয়োজন

বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজে ‘বিল্ডিং ব্রিজেস থ্রু লিডারশিপ ট্রেনিং (বিবিএলটি)’ এর ৪৯তম ব্যাচ এবং ‘বিবিএলটি জুনিয়র (বিবিএলটিজে)’ এর ৪৩তম ব্যাচের স্নাতকোত্তর অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এ প্রোগ্রামগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করেছে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস।
জানা যায়, ইংরেজি, বাংলা মাধ্যম ও মাদ্রাসার মোট ৯৪ জন শিক্ষার্থী সাত সপ্তাহব্যাপী বিবিএলটি ও চার সপ্তাহব্যাপী বিবিএলটিজে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই প্রশিক্ষণগুলো নেতৃত্ব, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধান এবং যোগাযোগ দক্ষতার ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল। স্নাতকরা তাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করে জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপদ নগরী ও নাগরিক দায়িত্বশীলতা নিয়ে ১৩টি কমিউনিটি সার্ভিস প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, যার মধ্যে পাঁচটি প্রকল্প বিস্তৃতির জন্য ৫০০০০ টাকা করে অর্থায়ন পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বিওয়াইএলসির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারপার্সন ইজাজ আহমদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রতি বছরের স্নাতকোত্তর অনুষ্ঠান আমাকে বিওয়াইএলসি’র শুরুর দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। ২০০৮ সালে আমরা বাংলা, ইংরেজি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের এক শ্রেণিকক্ষে একত্র করে নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ শুরু করি। যদিও তখন থেকে প্রেক্ষাপট অনেক বদলেছে, নেতৃত্বের চর্চা এখনো সর্বত্র বিস্তৃত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, তিনটি শিক্ষা ধারার শিক্ষার্থীরাই তাদের মূল মূল্যবোধ ধরে রেখে, সহনশীলতা গড়ে তুলে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখতে পারে। এর জন্য তরুণদের নিজ দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল হতে হবে এবং নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দৃঢ় থাকতে হবে। চলমান জুলাইয়ের প্রেক্ষাপটে, এখনই একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমি আশা করি তরুণরা মার্জিত ও সম্মানজনক ভাষার ব্যবহার করবে, ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবে এবং একটি উন্নত বাংলাদেশের নির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
সমাপনী বক্তব্যে বিওয়াইএলসির নির্বাহী পরিচালক তাহসিনাহ আহমেদ বলেন, স্নাতকদের জন্য প্রকৃত যাত্রা এখন শুরু হলো যেখানে তারা বাস্তব জীবনে নেতৃত্ব প্রশিক্ষণের প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। তিনি তাদের বিওয়াইএলসি গ্র্যাজুয়েট নেটওয়ার্কে স্বাগত জানান এবং আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, তারা দক্ষতা, সততা ও সহানুভূতির মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য যে, ২০০৯ সাল থেকে বিওয়াইএলসি বিবিএলটি এবং বিবিএলটিজে প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৮০০০-এরও বেশি স্নাতক তৈরি করেছে, যারা দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে এসে সহানুভূতি, সহনশীলতা এবং নেতৃত্বের চর্চা করছে এবং সরকারি, বেসরকারি ও নাগরিক সমাজের বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সুযোগের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: