পলাতক ৩ বাংলাদেশিকে খুঁজছে ব্রুনাই পুলিশ!
নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া তিন বাংলাদেশি শ্রমিককে খুঁজছে ব্রুনাই পুলিশ। ‘বোর্নিও বুলেটিন’ নামে দেশটির একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে এই তথ্য জানা গেছে।
রিপোর্টার রোকেয়া মাহমুদ লিখেছেন- নিখোঁজ তিন বাংলাদেশিকে হন্যে হয়ে খুঁজছে রয়্যাল ব্রুনাই পুলিশ ফোর্স। তিনজনকে খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহায়তাও চেয়েছে পুলিশ।
পলাতক শ্রমিকরা হলেন- মোহাম্মদ আকতার হোসেন, পাসপোর্ট নম্বর- বিডব্লিউ ০০৮৩৯৪৪; মো. সুজন মিয়া, পাসপোর্ট নম্বর- বিএম ৮২৬২৯০৯ এবং সবুজ আলী, পাসপোর্ট নম্বর- বিপি ০৩১০২৮৩।
আরও পড়ুন:
এবার টি-২০ সিরিজ বাতিল করলো বাংলাদেশ
অপু বিশ্বাসসহ একঝাঁক তারার মেলায় বিউটি ও স্কিন কেয়ার উদ্বোধন
ঢাবি’র ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম-দ্বিতীয় নারী
কোন প্রেক্ষাপটে তাঁরা পালাতে বাধ্য হয়েছেন, সেই সম্পর্কে রিপোর্টে কিছুই উল্লেখ করেননি রোকেয়া মাহমুদ। তবে এই বিষয়ে বন্দর সেরিবেগওয়ানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা’র বক্তব্যে লুকিয়ে রয়েছে, এভাবে পালিয়ে যাওয়ার পেছনের রহস্য।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কেবল বাংলাদেশিরাই পালায় না, অন্য দেশের শ্রমিকও পালায়। কারণ, শ্রমিকরা প্রতিশ্রুত বেতন পান না। বাংলাদেশ থেকে তাঁদের নেওয়ার সময় যে বেতনের অঙ্গীকার করা হয়, বাস্তবে তাঁদের অনেক কম বেতন দেওয়া হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ২০-২১ ব্রুনাই ডলারের বেশি নয়। তা থেকেও ফুড এবং ডরমেটরি ভাড়া কর্তন করা হয়। ফলে শ্রমিকদের হাতে তেমন কোনো অর্থ অবশিষ্ট থাকে না। এছাড়া ডরমেটরিতে গাদাগাদি করে থাকতে হয়।
ইতিপূর্বে দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে, কোনো শ্রমিক পালিয়ে গেলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে যেন দূতাবাসকে জানানো হয়। কিন্তু দেশটির পুলিশ বাংলাদেশ দূতাবাসকে না জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন এবং স্বাস্থ্যকর ডরমেটরির নিশ্চয়তা দিতে পারলে এমন সমস্যার সমাধান হবে।
আরও পড়ুন:
সিসিইউতে খালেদা জিয়া
আইজিপি’র স্ত্রী পরিচয়ে কনস্টেবল নিয়োগের চেষ্টা, নারীসহ গ্রেফতার দুই
বিভি/রিসি/ইই
মন্তব্য করুন: