ভারতের পরমাণু বোমার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে

সন্ত্রাসদমনে ভারতের সেনাপ্রধানকে যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীরের পহেলগাওতে জঙ্গি হামলার পরই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে।
কাশ্মীরের পহেলগাওতে জঙ্গি হামলার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিতের মতো কড়া কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েছে ভারত। পাকিস্তান পালটা হুঁশিয়ারি বলেছে, জল বন্ধ যুদ্ধেরই সামিল! অন্যদিকে পাকিস্তানও ভারতে পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে। ভারতও পরমাণু শক্তিধর একটি দেশ। তাই নানা সময় পাকিস্তানকে হুমকি দিয়ে এসেছে মোদী সরকার।
বিশ্বে মাত্র ৯টি দেশ পারমাণবিক শক্তিতে সমৃদ্ধ। আর এখনও পর্যন্ত ইতিহাসে মাত্র একবারই পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলেছিল আমেরিকা।
এখন ভারত-পাক যুদ্ধ আবহে প্রশ্ন উঠছে, ভারতে পরমাণু বোমার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি নাকি সেনাবাহিনীর? ভারতের প্রধানমন্ত্রী চাইলেই কি পরমাণু হামলার নির্দেশ দিতে পারেন?
ভারত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হওয়ায়ন এই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সম্পূর্ণ কাঠামো রয়েছে। একমাত্র নিউক্লিয়ার কমান্ড অথরিটির পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
এই নিউক্লিয়ার কমান্ড অথরিটি রাজনৈতিক পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদ নিয়ে গঠিত। দেশেটির প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক পরিষদের সভাপতিত্ব করেন। এই রাজনৈতিক পরিষদই একমাত্র পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দিতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
এদিকে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতিত্ব করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। কার্যনির্বাহী পরিষদকে রাজনৈতিক পরিষদের নির্দেশ অনুসরণ করতে হয়। এই সংগঠিত কাঠামোর কারণেই পারমাণবিক হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত ভারতে কোনও প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি বা কোনও একক ব্যক্তি নিতে পারেন না।
বিভি/জোহা
মন্তব্য করুন: