হজযাত্রা শুরু: মানুষের চোখে অশ্রু আর হৃদয়ে আশার আলো, নিয়ম ভাঙলেই শাস্তি

ছবি: সংগৃহীত
শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের হজযাত্রা। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মুসল্লি সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করছেন। এই সফর শুধুই শারীরিক ভ্রমণ নয় বরং এটি আত্মার পরিশুদ্ধি ও আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছানোর এক গভীর চেষ্টা। ইসলামের ৫টি মূল স্তম্ভের অন্যতম পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে মুসল্লিরা একত্রিত হচ্ছেন সৌদি আরবে। বিভিন্ন দেশের, ভাষার, জাতির ও সংস্কৃতির মানুষ মিলিত হচ্ছেন সেখানে। বাতাসে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে তাকবির, মানুষের চোখে অশ্রু আর হৃদয়ে আশার আলো।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশে হজ ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল থেকে, চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। পবিত্র হজ পালন শেষে প্রথম ফিরতি ফ্লাইট দেশে পৌঁছাবে ১০ জুন, আর সর্বশেষ ফিরতি ফ্লাইট আসবে ১০ জুলাই।
আসন্ন হজ মৌসুমকে সামনে রেখে এবার হজ ভিসা সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়েছে, যারা নির্ধারিত নিয়ম ভঙ্গ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি কার্যকর করা হবে। এই শাস্তির আওতায় সর্বোচ্চ ১ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হতে পারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩২ লাখ টাকা। এছাড়াও, এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
৫ এপ্রিল প্রকাশিত আল-আরাবিয়ার একটি প্রতিবেদনের তথ্য মতে, আসন্ন হজ মৌসুমকে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সবাইকে সতর্ক করেছে যেনো কেউ বৈধ অনুমতি ছাড়া হজে অংশ না নেন। যদি কেউ অফিশিয়াল হজ পারমিট ব্যতীত কিংবা ভিজিট ভিসা নিয়ে হজ পালনের চেষ্টা করেন ও ধরা পড়েন, তবে তাকে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
এছাড়া, যদি কেউ ভিজিট ভিসায় অন্য কাউকে পবিত্র হজ পালনের জন্য পাঠানোর চেষ্টা করেন অথবা ভিজিট ভিসায় আসা ব্যক্তিদের মক্কা বা পবিত্র স্থানগুলোতে পৌঁছাতে সহায়তা করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
এক বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতিটি লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যারা অবৈধভাবে পবিত্র হজ পালনের চেষ্টা করবেন, চাকরিজীবী বা বাসিন্দা যেই হোন না কেন, তাদের সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হবে ও আগামী ১০ বছর সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ, যা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জীবনে একবার পালন করা ফরজ। এই বছর ৮ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হতে পারে, তবে এটি চাঁদ দেখার উপর নির্ধারিত হবে।
ঈদুল আযহায় পশু কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও আত্মত্যাগ প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি জাতির জন্য আল্লাহ কুরবানি দেওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করেছেন, যাতে তারা নিজেরা খেতে পারে ও দরিদ্রদের জন্য কিছু দান করতে পারে।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: