অস্ত্রের পর এবার পাকিস্তানে যুদ্ধজাহাজ পাঠালো তুরস্ক!

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় করাচিতে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে তুরস্ক। এটা কীসের লক্ষণ, তা নিয়েই জোর আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। তবে কি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে লড়াইয়ে নামবে তুরস্ক? সেটা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও, সম্ভাব্য যুদ্ধে ইসলামাবাদ যে আঙ্কারার সমর্থন পাবে, সেটুকু বলা যায়।
পাকিস্তান নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে প্রভাবশালী ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সামুদ্রিক সহযোগিতা ও আদান-প্রদান বাড়ানোর লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে করাচি বন্দরে পৌঁছায় তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ টিসিজি বিয়ুকাদা। বন্দরে পৌঁছানোর পর এটিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় পাক নৌকর্মকর্তারা। বিয়ুকাদার এই সফরকে সৌজন্যমূলক বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
তবে এটিকে এতো সরলভাবে দেখছে না ভারতীয় বিশ্লেষক ও গণমাধ্যমগুলো। কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার জেরে যখন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের দোরগোড়ায়, সে সময় এই যুদ্ধজাহাজ পাঠানোকে একটি বিশেষ বার্তা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে এর আগে পাকিস্তানের অ্যাগোস্তা-নাইন্টিবি ক্লাসের সাবমেরিনগুলোর আধুনিকায়নে সহায়তা করে তুরস্ক। সেই সাথে নানা সময়ে আঙ্কারা ইসলামাবাদকে ড্রোনসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে প্রভাব বাড়াতে বিশেষভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে তুরস্ক। এ লক্ষ্যে পাকিস্তানের সাথে ক্রমশ সম্পর্ক গভীর করছে তারা। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মাঝে তাদের এই তৎপরতা বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি, কেবল যুদ্ধজাহাজ পাঠানো নয়, চলমান উত্তেজনার মাঝেই পাকিস্তানকে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে তুরস্ক। ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস-ওয়ানহান্ড্রেড-থার্টি কার্গোবিমান করাচিতে অবতরণ করে। তাতে নানা রকম সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে দাবি তাদের।
এছাড়া ইসলামাবাদের একটি সামরিক ঘাঁটিতে তুরস্কের আরো ছয়টি ওয়ানহান্ড্রেড-থার্টি কার্গোবিমান পৌঁছানোর কথা জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে দাবি এই গণমাধ্যমের। যদিও আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে এ ধরনের দাবিকে অমূলক বলে উল্লেখ করেছে তুরস্ক।
অন্যদিকে টালমাটাল এই সময়ে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুমকি দিয়ে চলেছে খালিস্তানপন্থিরা। এর অংশ হিসেবে লাগাতার কানাডায় ভারতবিরোধী প্রোপাগ্যান্ডা চালাচ্ছে তারা। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সম্প্রতি টরেন্টোর ম্যাল্টন গুরুদুয়ারার বাইরে প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ডামিকে প্রতীকী কারাগারে ভরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে খালিস্তানপন্থীরা। এরই মাঝে ওই সমাবেশের ভিডিও ভাইরাল হয়ে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
একঅ সাথে ওই সমাবেশে হিন্দুদের কানাডা থেকে বের করে দেয়ার আহ্বান জানায় খালিস্তানপন্থীরা। এর আগে খালিস্তানপন্থীদের নেতা গুরুপাতওয়ান্ত সিং পান্নু বলেন, ভারতের সাথে যুদ্ধ বাঁধলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করবে পাঞ্জাব। সে সময় মোদী, অমিত শাহর প্রাণনাশেরও হুমকি দেন তিনি।
বিভি/এইচজে
মন্তব্য করুন: