প্যাঁচার ছানার খোঁজ ও সংরক্ষণে এআই প্রযুক্তি, ইংল্যান্ডে নতুন গবেষণা

ছবি: সংগৃহীত
এবার প্যাঁচার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এআই। ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা প্যাঁচার ছানার সংখ্যা নির্ধারণ করতে তাদের শব্দ বা ডাক বিশ্লেষণ করছেন। রয়টার্সের তথ্য মতে, এই প্রযুক্তির ফলে আর ছানাগুলোকে ধরে তাদের পায়ে রিং পরানোর কিংবা বাসায় ক্যামেরা স্থাপনের প্রয়োজন পড়ছে না। এতে করে পাখিদের বিরক্ত না করেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
এই এআই মডেলটি তৈরি করেছেন বোর্নমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক কবিশা জয়াথুঙ্গে। মডেলটি প্যাঁচার ছানাদের শব্দ বিশ্লেষণ করে ছানার সংখ্যা নির্ণয় করতে সক্ষম। এর ফলে প্যাঁচার প্রজনন হার এবং তাদের মোট সংখ্যার সামগ্রিক অবস্থা মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যাবে।
প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত প্রকৌশলী ও প্রকৃতিবিদ ব্রায়ান ক্রেসওয়েল জানান, প্যাঁচাদের দেখা পাওয়া বেশ কঠিন, কারণ তারা সহজে চোখে পড়ে না। তাই এমনভাবে তথ্য সংগ্রহ করা উচিৎ যাতে তারা বিরক্ত না হয়। তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতিতে রেকর্ডিং ডিভাইস বাসার ভিতরে বসানোর প্রয়োজন পড়ে না কারণ প্যাঁচার ছানারা এত জোরে ডাক দেয় যে বাইরে থেকেও সেই শব্দ সহজেই ধরা পড়ে।
পেঁচার ছানাদের বাসার আশপাশে একটি রেকর্ডার স্থাপন করে তাদের ডাক বা শব্দ সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত অডিও ফাইলগুলো পরবর্তীতে প্রক্রিয়াজাত করেন কবিশা জয়াথুঙ্গে। রয়টার্সকে তিনি জানান, তিনি এসব অডিওর ফ্রিকোয়েন্সি বিশ্লেষণ করে এক ধরনের বারকোড তৈরি করেন। প্রতিটি শব্দের মাঝেই সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য থাকে, যা একটি এআইভিত্তিক মডেল শনাক্ত করতে সক্ষম।
যদিও প্রযুক্তিটি এখনও বিকাশের প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে এটি ইতোমধ্যেই ব্রায়ান ক্রেসওয়েলের বাগানে অবস্থিত একটি পাখির বাসা থেকে সংগৃহীত রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে ৩টি ছানার উপস্থিতি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
এই তথ্যগুলো পাখিদের প্রজননের সফলতা মূল্যায়ন, ছানাদের ক্ষুধার মাত্রা বুঝতে সহায়তা করে, যা ভবিষ্যতে তাদের আচরণগত বিশ্লেষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। নেস্টে বিঘ্ন না ঘটিয়ে স্বেচ্ছাসেবক ও সংরক্ষণকর্মীরা যাতে সহজেই প্রাকৃতিক পরিবেশে রেকর্ডার স্থাপন করে ছানাদের ডাক সংগ্রহ করতে পারেন সেদিকেই এখন নজর দেওয়া হচ্ছে।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: