শীতকালে হলুদ খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
হলুদ রান্নায় ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে আপনি চা, কফি, প্রোটিন বার ও সাপ্লিমেন্টের উপাদান হিসেবেও হলুদের ব্যবহার লক্ষ্য করে থাকবেন। দিনদিন হলুদের জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণ- গবেষণায় হলুদের ইতিবাচক প্রভাব।
বিশেষজ্ঞদের মতে হলুদের অ্যান্টিফাংগাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার ফলে হলুদ প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
বৈজ্ঞানিকভাবেও একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে যে, হলুদের একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। শুধু তাই নয় ক্যান্সার ,অ্যালঝাইমার এমনকি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে হলুদ। তবে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে হলুদ অনেক উপকারে আসতে পারে।
১. শারীরিক অসুস্থতা দূর করে
হলুদ হলো প্রাকৃতিক উপাদান যা শীতের সবচেয়ে সাধারণ কিছু সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। যেমন, সাইনাস, জয়েন্টে ব্যথা, হজমে সমস্যা, কফ। এসব থেকে তৎক্ষণাৎ মুক্তির জন্য আপনি চা বা দুধের সংগে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন হলুদ যদি খেতে পারেন তাহলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২. টক্সিন দূর করে
শীতের সময়টাকে মূলত ছুটির সময় ধরা হয়। এই সময়ে মানুষ খাওয়া-দাওয়া করতে, ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। এই থেকে শরীরে অজান্তে জমতে থাকে টক্সিন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে হলুদ। লিভার ফাংশনকে ভালো রাখে হলুদ। হলুদে যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
তাই গরম পানি, চা ও কফির সংগে হলুদ মিশিয়ে নিলে। খাবারে স্বাদ যোগ করবে এবং হজম ভালো রাখবে। হলুদ খেলে টক্সিন বের হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বক হয়ে ওঠে লাবণ্যময়ী।
৩. ফ্লু দূর করে
শীতের শুরুতেই ফ্লুর কারণে ঠাণ্ডা জ্বর হয়। এজন্য শীতকালে হলুদ দুধের আলাদা একটা কদর আছে। গর্ভাবস্থায় অনেক নারী হলুদ দুধ খেয়ে উপকার পান। এতে করে ব্যথা কমে। হলুদ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
সবশেষে বলা যায়, হলুদ শুধু ভালো মসলা না হলুদ নিরাময়কারী। এজন্য মসলা হিসেবে হলুদের ব্যবহার শুরু করা উচিত।
তবে স্মরণে রাখা ভালো যে, শরীর হলুদ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে না। এই কারণে হলুদের সংগে গোল মরিচ ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত রান্নায় যে পরিমাণ হলুদ ব্যবহার করা হয় তা নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে হলুদ খেলে পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি, মাথাঘোরা, বমিভাব ও ডায়রিয়া হতে পারে।
কিছু রক্ত তরলকারী ওষুধ রয়েছে। ভুলেও এই ওষুধের সংগে হলুদ খাবেন না। তাহলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তবে প্রদাহজনিত সমস্যা থাকলে প্রতিদিনকার রেসিপিতে এখন থেকে হলুদের গুঁড়া আরেকটু বাড়িয়ে নিতে পারেন। তবে এর আগে অবশ্যই পরিমাণ চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে ভুলবেন না।
বিভি/এএন
মন্তব্য করুন: