বিদ্যুৎ ব্লাক আউট কি, এই সময়ে কী করবেন?

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে লোডশেডিং চলছে অনেক এলাকায়। কেউ কেউ এটাকে ব্লাক আউট হিসেবেও অভিহিত করছেন।
এখন কথা হলো ব্লাক আউট কী?- কোন কারণে যদি ডিমান্ড অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায় বা সাপ্লাই কমে যায় তখন পাওয়ার স্টেশন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, সাবস্টেশনসহ পুরো গ্রিডের সেফটি সিস্টেম ট্রিপ করে।
আমাদের দেশের বিদ্যুত প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার দিক পরিবর্তন করে,আমেরিকায় যা ৬০ হার্টজ। সে হিসেবে সাব ব্লাক আউট বলতে দেশের নির্দিষ্ট এলাকায় ব্লাক আউট এবং ব্লাক আউট বলতে পুরো গ্রিড ফেইল করাকে বোঝায়।
দেশের ৮০-৯০% এলাকায় বিদ্যুত নেই। ঢাকা,সিলেট,চট্টগ্রাম, ময়মসিংহ এলাকায় ব্লাক আউট হয়েছে। যার অর্থ বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সী মিনিমাম ৪৮ এর নিচে নেমে গিয়েছে, এখন কোন জোনে সমস্যা তা খুজে বের করতে হবে। ট্রান্সমিশন লাইন ১ এ সমস্যা তা প্রায় সবার জানা।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
তবে এই ট্রান্সমিশন লাইন পরোক্ষভাবে পুরো দেশের গ্রিড সেবার সাথে কানেক্টেড।মুল সমস্যা খুজে বের করা বেশ সময়সাপেক্ষ। এর আগে ২০১১ কিংবা ২০১২ তে ভারতীয় সাবস্টেশনে রুপ্তানীকৃত বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সী কমে যাওয়ায় ব্লাক আউট হয়েছিল।
আমেরিকার টেক্সাসেও গত শীতে এমন ব্লাক আউট হয়েছে। ব্লাক আউট মুলত বিলিয়ন ডলার ইনফ্রাস্টাকচার কে বাচাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ট্রিপ করা।অনেকটা বাসা বাড়ির সার্কিট ব্রেকারের মতই একটি ব্যবস্থা।
ঘরে যখন হুট করে আমরা একটি বাতি জ্বালাই, ফ্যান চালাই তার জন্যেও দেশের কোন না কোন বিদ্যুত কেন্দ্রের টার্বাইন একটু হলেও জোরে ঘুরে। তবে রাতের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান জানান, এক ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীতে বিদ্যুৎ চলে আসবে এবং সন্ধ্যার মধ্যে সারাদেশে বিদ্যুত আসবে।
ব্লাক আউট এড়াতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন। বিদ্যুত আসার পর বেশ কয়েকবার লোডশেডিং হবে। তাই ফোনের চার্জ সেভ করে রাখুন। পানির ব্যবহার সীমিত রাখুন। ফ্রিজ কম খুলুন। ডিভাইস যথাসম্ভব কম ব্যবহার করুন। পরিবারকে সময় দিন। সময়টুকু উপভোগ করুন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ কখন আসবে জানালেন বিদ্যুৎ সচিব
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: