লোডশেডিংয়ের অজানা ১০টি উপকারিতা

এই লোডশেডিং যে শুধু ভোগান্তি দিচ্ছে তা নয়, এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। চলুন দেখে নেওয়া যাক লোডশেডিংয়ের ১০টি উপকারিতা।
১. বিদ্যুৎ না থাকায় পাওয়ার খরচ কমায় বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
২. লোডশেডিংয়ের মধ্যে ঘরের কাজ এগিয়ে রাখা যায়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘরদোর পরিষ্কার করা শুরু করুন।
৩. সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে। বিদ্যুৎ এবং প্রযুক্তি আমাদেরকে বড্ড ব্যস্ত রাখে। এতে করে আমরা নিজেকে সময় দিতে পারি না। নিজের সৃষ্টিশীল মনটাকে কাজে লাগাতে পারি না। লোডশেডিংয়ের সময় চাইলে সহজেই নিজেকে সময় দেওয়া যাবে।
৪. পারিবারিক বন্ধন মজবুত হবে। লোডশেডিংয়ের সময়টাতে পরিবারের সবাই মোটামুটি ফ্রি থাকে। তাই ওই সময়ে সবার সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়ানো যেতে পারে। এতে করে পারিবারিক বন্ধন মজবুত হবে।
৫. সুস্থতা আনবে লোডশেডিং। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার প্রবণতা কমবে। সেই সঙ্গে শরীরও ঘামবে কিছুটা। যেটাতে ক্যালরি ক্ষয় হবে। এতে করে শরীর সুস্থ থাকবে।
৬. লিফটে আটকে যাবার ভয়ে লোকে লিফট ব্যবহার না করে সিড়ি ব্যবহার করবে ফলে সময়ের অভাবে যাদের শরীর চর্চা হয়না তাদের জন্য উপকার হবে।
৭. মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য অসম্ভব উপকারী। মানসিক ও শারীরিক- দুই রকমের স্বাস্থ্যই ভালো থাকে মেডিটেশনে। লোডশেডিংয়ের সময় মেডিটেশন শুরু করুন।
৮. লোডশেডিংয়ের সময় বাসায় ইনডোর গেইমের আয়োজন করুন। এতে করে খেলাধুলা চর্চা হলো। সময়টাও হাসিখুশিতে কাটলো। এক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোরদের নিয়ে পুরোনো আমলের খেলাধুলা করে তাদেরকে ওইসবের সঙ্গে পরিচিত করানো যেতে পারে।
৯. পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটাতে পারবেন। সারাদিন একলা থাকে পোষা বিড়াল, কুকুর বা পাখিটা? লোডশেডিংয়ে শুধু ওকেই একটু সময় দিন। কথা বলুন, খেলুন, সময় কাটান।
১০. সবশেষ উপকারীতা বলা যায়, নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া। প্রকৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া। কেননা প্রযুক্তি উৎকর্ষে হারিয়ে গেছে প্রকৃতি, হারিয়েছে আমাদের নিজস্বতা। তাই লোডশেডিংয়ের সময়টাতে প্রকৃতিকে উপভোগের মাধ্যমে নিজেকেও সময় দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ব্লাক আউট কি, এই সময়ে কী করবেন?
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: