স্বামীকে যে ৫ কথা বলে কলহ বাড়াবেন না

প্রতীকী ছবি
সবাই দাম্পত্য জীবন সুখী করতে চায়। কিন্তু তারা জানেন না যে, ঠিক কী করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ থাকবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কে দুজনের অধিকার সমান হওয়া উচিত। তাই দুজনের মতামত জানানোর অধিকারও থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
সুস্থ সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ জন্য একটু টুকটাক ঝগড়া হবেই। কিন্তু এ সময়ে আপনি এমন কোনো কথা বলবেন না, যা আপনার সঙ্গীর মন খারাপ হতে পারে। অনেক নারীরাই এ সমস্যায় পড়েন। তাদের অভিযোগ, স্বামী ধীরে ধীরে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
নারীরা জেনে রাখুন, এই ৫ কথা কখনোই স্বামীকে বলা উচিত নয়। তাহলেই কিন্তু বিষিয়ে যেতে পারে সম্পর্ক।
তুমি কিছু পারো না
অনেক সময় রাগের মাথায় বা অন্যান্য কারণে এ রকম কথা আপনি স্বামীকে বলেন। হয়তো সে কথা মন থেকে বলেন না, কিন্তু এর একটি প্রভাব আপনার স্বামীর ওপরেও পড়ে। আপনি একবার তাকে এমন কথা বলতেই পারেন। কিন্তু বারবার এ প্রসঙ্গ টেনে এনে যদি স্বামীকে অপমান করেন, তাহলে তার মনে আপনার জন্য অন্যরকম প্রভাব তৈরি হতে পারে।
এত কম আয় করলে হবে না
আপনি কিন্তু তার সবটুকু জেনেই তাকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের সময়ে নিজের আর্থিক অবস্থার কথা আপনার স্বামী আপনাকে জানিয়েছিলেন। তিনি কোনো কথা আপনার থেকে লুকাননি। তাই সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত আপনারও। সংসার চালানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু তার উপার্জন নিয়ে বারবার তাকে কথা কথা শোনাবেন না। এতে তার মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তোমার পরিবারের কেউ ভালো নয়
অনেক নারীকেই বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যও খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সেগুলো কীভাবে সামাল দেবেন এবং সেসব কথার উত্তর কীভাবে দেবেন, তা কিন্তু আপনাকেই ভাবতে হবে। এ নিয়ে স্বামীর ওপর দোষারোপ করবেন না। এতে তার কোনো হাত নেই। তিনি হয়তো প্রতিবাদ করতে পারেন। তার কাছে মনের কথা জানাতে পারেন। কিন্তু ‘তোমার পরিবার খারাপ’, এমন কথা বলবেন না।
ওর স্বামী বেশি ভালো
তুলনা করা কখনও উচিত নয়। সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য এবং সুস্থ দাম্পত্যের জন্যে কয়েকটি খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন। তুলনা তার মধ্যে অন্যতম। অন্যের স্বামীর সঙ্গে নিজের সঙ্গীর তুলনা করবেন না। তিনি যেমন, তাকে সেভাবেই গ্রহণ করুন। তার ভুলটা শুধরে দিতে পারেন। কিন্তু তুলনা করবেন না।
তোমার কোনো ভুল দেখতে পাই না
ভালোবেসে অন্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক নয়। আপনার স্বামীর মন জুগিয়ে চলার জন্য অন্যায় মেনে নেয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি দোষ করলে, তা সরাসরি জানান। তিনিও ভুল করেন। তার ভুল শুধরে দিন। অন্যায় মেনে নেবেন না। প্রয়োজনে প্রতিবাদ করুন।
আরও পড়ুন:
সূত্র: এই সময়
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: