• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ক্রেতার সাজে বন কর্মকর্তার ফাঁদ, ধরা পড়লো অনলাইনে পাখি বিক্রেতা

প্রকাশিত: ১২:১৬, ১১ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
ক্রেতার সাজে বন কর্মকর্তার ফাঁদ, ধরা পড়লো অনলাইনে পাখি বিক্রেতা

বালি হাস ও কালিম পাখি প্রেমিকের আড্ডা নামের একটি গ্রুপের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে দেশীয় ময়না, টিয়া ও কালিম পাখি বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটির প্রতি নজরদারিও চলছিলো বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের। কিন্তু সুযোগমতো না পাওয়ায় ধরা যাচ্ছিল না বিক্রেতাদের। অবশেষে বন কর্মকর্তার ফাঁদে পা দিয়ে আটকা পড়লো পাখি বিক্রেতা চক্রের এক সদস্য।

রবিবার (১০ এপ্রিল) গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে ১৪টি টিয়া পাখিসহ চক্রের সদস্য মেহেদী হাসান সুমনকে আটক করে বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানার নেতৃত্বে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের একটি টিম। 

তিনি বাংলাভিশনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে দেশীয় ময়না, টিয়া, কালিম পাখি বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। তাদের ওপর নজরদারিও করছিলো বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। গ্রুপে আসামি মেহেদী হাসান সুমনের দেওয়া পোস্টে ক্রেতা হিসেবে যোগাযোগ করি। দামদর করে তার দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে ১৪টি টিয়া পাখিসহ ওই বিক্রেতাকে আটক করি। তাৎক্ষণিক কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে  মেহেদী হাসান সুমনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে আগামীতে এমন অপরাধ করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

পরে পাখিগুলো কালিয়াকৈর উপজেলা চত্বরের প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে এবং চক্রের বাকি সদস্যদের চিহ্নিত করতে তৎপরতা চলমান রয়েছে বলেও জানান বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা।

উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী দেশীয় প্রজাতির যে কোনো বন্যপ্রাণী শিকার, পাচার, নিজের কাছে সংরক্ষণ, হত্যা ও ক্রয়বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

বিভি/কেএস

মন্তব্য করুন: