• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিএনপির নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেললেন এহসানুল হক মিলন

প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ১৩ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ২০:২৮, ১৩ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
বিএনপির নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেললেন এহসানুল হক মিলন

গত ৬ এপ্রিল সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে দলীয় পদ থেকে ডিমোশন দিয়েছে বিএনপি। তাঁকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থেকে সরিয়ে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর ওই বক্তব্যে আক্ষেপ, ক্ষোভ এবং বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এহসানুল হক মিলন কেন্দ্রীয় নেতাদের মূল্যয়ণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কথা বলেছেন দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

১৯৮০ সালে এহসানুল হক মিলনকে খেলার মাঠ থেকে এনে ছাত্রদলের তৎকালীন ২১ সদস্যের কমিটিতে ২১ নম্বর সদস্যের পদ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ওই সময়ে ছাত্রদলে কেন্দ্রীয় কমিটি হতো ১৯ সদস্যের। পরে সেটা বাড়িয়ে করা হয় ২১ সদেস্যর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু  ছিলেন। ফজলুল হক হলের অ্যাথলেট সেক্রেটারি ছিলেন। অ্যাথলেট চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। এছাড়া ন্যাশনাল টিমে ভলিবল খেলতেন। শহীদ জিয়ার সময় দুইবার ভিপি ছিলেন। এরশাদ সরকারের সময় উচ্চশিক্ষার জন্য নিউইয়র্ক যান। বিদেশেও বিএনপি করেন। সেখানে বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। বহু কাজের রেজাল্ট হিসেবে ১৯৯৩ সালে সম্মেলনে মিলনকে আন্তর্জাতিক সম্পাদক করা হয় বিএনপিতে।

আরও পড়ুন:

ডিমোশোন দেয়া চিঠিতে মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দলের কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় থাকায় পদাবনতি’র এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দলের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে এহসানুল হক মিলন বলেন, গত নির্বাচনের (২০১৮) প্রাক্কালেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। প্রথমবার ৪৪৯ দিন, দ্বিতীয়বার ৬৯ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসছেন। এখন চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারছেননা, বসে বসে রাজনীতি করছিলেন। এরই মাঝে হঠাৎ করে বিনা মেঘে বজ্রপাত। ঘুম থেকে শুনলেন তাঁকে বাদ দেয়া হয়েছে। কেন বাদ দেয়া হয়েছে বা কাকে দেয়া হয়েছে। কোনো উত্তর কারো কাছে পান নাই তিনি। কেউ তাঁকে জিজ্ঞেস করেনি। তাঁর কাছে কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি, ফেসবুকে স্টাটাসে দেখেছেন তাঁকে আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ৪২ বছরের রাজনীতি করে ৭টি বই শহীদ জিয়ার জন্য লিখে, একটি বই বেগম জিয়ার জন্য লিখে, সফলতার সাথে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে, কচুয়ার জনগণের সঙ্গে থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশে এসে দল থেকে এই পুরস্কার পেয়েছি।

এক প্রশ্নে জবাবে এহসানুল হক মিলন বলেন, এই ছাত্রদলকে আমি জন্ম দিয়েছি, নিজেও জন্ম নিয়েছি। অতএব এটি আমার দল। এই জন্য আমার কোনো আক্ষেপ নেই। এ দলের জন্য আমার কাজ করতে হবে। যেহেতু আমি এই ঘরে জন্ম নিয়েছি। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় হলো, কোন দিকে হাটছে এই দলটি। কোন দিকে যাচ্ছে, সেই জায়গায় আমাদের কোনো কট্রিবিউশন নেই। আমরা কি সঠিক পথে হাটছি? আজকের প্রেক্ষাপটে দলের উর্ধতন নেতা যারা আছেন, নীতিনির্ধারক যারা আছেন তাদের অধিকাংশই অন্য দল থেকে আসছেন। কি চাচ্ছেন আমি জানিনা। কিছু পত্রপত্রিকায় দেখলাম মাসুদ করিম চৌধুরী নামে এক ভদ্রলোক কিছু অনুষ্ঠান করছেন। সেগুলো নিয়ে তিনি নেপাল, ভুটান, ব্যাংকক, অ্যামেরিকা গিয়েছেন। অনেকে সেগুলোর সঙ্গে আমার জড়িত থাকার কিছুটা সম্ভাবনার কথা বলছেন। আমি কখনো কারো কাছে যাইনি, বিদেশে গিয়ে কারো সঙ্গে দেখাও করিনি। এগুলো আমি বিশ্বাসও করিনা। এইভাবে দলের ভেতরে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে নেতাদের সাজা দেয়া হয়, তাহলে দলের ভবিষ্যৎ কি? এটাই আমার চিন্তা।

তিনি বলেন, আমি আমার নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছিনা। আমি চিন্তা করছি শহীদ জিয়ার ওই কথাটি- ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। প্রথম হচ্ছে দেশই ভবিষ্যৎ। সেটা হবে দলের দ্বারা। এখন দলের ভবিষ্যৎ কোন দিকে হাটছে। এটি হচ্ছে আমার চিন্তা।

আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে সাবেক এই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেভাবে দল এগুচ্ছে, আমি একটি পরিসংখ্যানে দেখলাম ১৫১ জন জেলা উপজেলায় প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেককে দলের দায়িত্ব স্থগিত করা হয়েছে, অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এধরণের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কেন হচ্ছে, কেন করছেন নীতিনির্ধারকেরা আমার বোধগম্য নয়। নির্ধিধায় বলতে পারি, বিষয়গুলো কোনো অবস্থায় সমীচীন হচ্ছে না এবং দলের ভবিষ্যতের জন্য কোনো অবস্থায় ভালো হচ্ছে না।

এহসানুল হক মিলন বলেন, আমি এই দলের জন্ম দিয়েছি, জন্ম নিয়েছি। দুটোই সত্য। এদল আমার দল, আমাদের দল, সকলের দল, বাংলাদেশের দল, এটি জাতীয়তাবাদীর শক্তির দল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সুদুর প্রসারী চিন্তা নিয়ে এই দলের জন্ম দিয়েছিলেন। এ দল কখনো ক্ষয় হবে না, এ দল টিকে থাকবে। যতদিন বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ থাকবে। দল আমাকে উপযুক্ত পদ দেয়নি। সে কারণে আমার রাজনীতি করার এরিয়া কোনো অবস্থায় কমে যায়নি। আমি এখনো বিভিন্ন জয়াগায় কথা বলছি, টকশো করছি, লেখালেখি করছি। আমি জাতীয়তাবাদী শক্তির উন্মোচক হিসেবে এই দায়িত্বটি আমরণ পালন করবো। কারণ, দেশকে আমার দরকার, আমাকে দেশকে দরকার। সেই কারণে আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আজকে এই পরিস্থিতিতে আমাকে কাজ করতে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে, দলের জন্য কাজ করতে হবে। দলের মাধ্যমেই দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

পদাবনতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রতিনিয়ত দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তিনি সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই করছেন। আমার মনে হয়, আমার আবেদনটি যারা বাংলাদেশে রয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অনেক দূরে রয়েছেন-তার পর্যবেক্ষণ দূর থেকে করা। অনেক সময় সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু এখানে যারা স্থায়ী কমিটির সদস্য রয়েছেন, তাদের কাছে আমার আবেদন- তারা কোন দিকে এগুচ্ছেন? তারা কি দলটিকে ধ্বংস করে দিতে চান না সামনের দিকে নিতে যেতে চান। সেই প্রশ্নটি আমার স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে নয়।

দলের জন্য কি করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মিলন বলেন, পদোন্নতি পাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, কাজও করেছি। ৯০ গণঅভ্যুত্থানের সময় অ্যামেরিকায় বসে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে কাজ করেছি। পরবর্তী সময়ে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন কেরছি। ৯৬ সালে বাংলাদেশে এসে এমপি হয়ে বিরোধী দলে থেকে যতটা সম্ভব দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০১ সালে মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সফলতার দারপ্রান্তে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। জাতি সেটা বিবেচনা করবে। সবমিলিয়ে আমি বসে নেই-আমি কাজ করেই যাচ্ছি। জেল-জুলম, হুলিয়া সর্বাধিক আমি পেয়েছি। দুর্নীতির মামলা না হলেও আমাকে যেভাবে কষ্ট দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি কারাগারে আমাকে নিয়ে কষ্ট দেয়া হয়েছে। ২০০৮ এ নির্বাচিত হলেও আমাকে সংসদে যেতে দেয়া হয়নি। সবমিলিয়ে অপরিসিম অত্যাচারের মধ্যেও আমি নিজেকে সচেষ্ট রাখার জন্য দায়িত্ব পালন করেছি। শুধুমাত্র ২০১৮ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পর মিছিল মিটিংয়ে যেতে পারিনি। কারণ সমাবেশে গেলে আমাকে বসতে দেয়া হয় না, দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তখন আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিলাম আর সমাবেশে যাবো না।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন। তাদের অনেকেই দল থেকে চলে গেছেন। প্রথম পরিবর্তন হয় জাতীয় পার্টির সময়। যারা ছিলেন পরবর্তী সময়ে আস্তে আস্তে চলে গেছেন। শহীদ জিয়ার সময় যারা ছাত্রদল করেছেন তাদের মধ্যে প্রায় কেউ নাই। শুধু মাত্র আমি আর শামসুজ্জামান দুদু সাহেব আছেন। আমি লেগেছিলাম। আমার ভাগ্যে যে এটা ঘটবে তা আমি জানতাম না।

অন্যরা কেন দল ছাড়ছেন জানতে চাইলে মিলন বলেন, যারা আসছেন, তাদের গ্রুপটি বড় হয়ে গেছে। তাদের পরবর্তীতে যারা আসছেন তাদের মধ্যে আমানুল্লাহ আমান আছেন। আর যারা আছেন তাদের অনেকেই আমানেরও জুনিয়ার। আমানদের পরের ব্যাচটি আছে। লিডারশিপে ঘাটতি দেখছি। দলের যে মাঠকর্মী বা শহীদ জিয়ার ভক্ত সেখানে কমতি নেই। তবে লিড দেয়াটাই এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। দেশে যে ইস্যুগুলো আছে, এগুলো সঠিকভাবে অ্যাড্রেস করতে হবে নীতি নির্ধারক কমিটি থেকে। যদি অ্যাড্রেস করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমাদের সামনের দিনগুলো অত্যান্ত খারাপ হবে। তখন আর টিকে থাকতে পারবো না। এবারেই সময় এসেছে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার।

নিজের প্রতি অবিচারের বিষয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালে দেশে আসলাম। কচুয়ার আসনটি বরাবরই ছিলো আওয়ামী লীগের। সেই আসনটি উদ্ধার করলাম। এমপি হওয়ার পরই মামলা হলো নাগরিকত্ব নিয়ে। সেই মামলায় হেরে যাই। সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার তিনি নাগরিকত্ব বিসর্জন না দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে থেকে যাই। ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ এ জয়যুক্ত হলাম। ২০০৮ সালে হাইকোর্টের রায়ের পরও আমাকে সংসদে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ২০১৪ সালে নির্বাচন হয় নাই। ২০১৮ সালে আমাকে নমিনেশন দেয়া হয় নাই। কেন দেয়া হয় নাই এ প্রশ্নের উত্তর আজো জানিনা। যাকে দেয়া হয়েছে, সে কখনো কচুয়া ছিলো না, এখনো নেই। সে মালয়েশিয়ায় স্থায়িত্ব নিয়ে আছে। সেখানেই থাকবে। তাকে আমার বিরুদ্ধে নমিনেশন দেয়া হলো। ২০১৮ সালের পর এ যাবৎ যত কমিটি দেয়া হয়েছে, তাতে আমাকেও রাখা হয়নি- এমনকি আমার কোনো কর্মীকেও রাখা হয়নি।

জিয়াউর রহমানের বই উদ্বোধন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর না আসার বিষয়টি মিলনকে খুবই ব্যথিত করেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, করোনায় আক্রমনের সময় ৭টি বই লিখেছি জিয়াউর রহমানের উপর, একটি লিখেছি বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে। মার্চের ৬ তারিখ মহাসচিব প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করবেন। ৫ মার্চ বিকেলে মহাসচিব জানালেন উপরের নির্দেশে তিনি আসতে পারবেন না। আমি চিন্তিত হয়ে পড়লাম। শহীদ জিয়ার উপরে লেখা বইগুলো উদ্বোধন করতে পারবো না? মহাসচিব আসবেন না? যাইহোক পরেরদিন ৬ মার্চ মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেককেই নিয়ে বইগুলো উদ্বোধন করলাম।

কেন কর্মসূচিতে যোগ দেন না- সে বিষয়টি বলতে গিয়ে সাবেক এই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা আজতে পদ পদবীতে রয়েছে, তাদের অনেকেই ছাত্রদল থেকে এসেছে। ছাত্রদলের সবচেয়ে সিনিয়র আমি। ২১ সদস্যের সেই কমিটির আমি ছাড়া শামসুজ্জামান দুদু আছেন। এরপর যারা আছেন তারা সবাই জুনিয়র। কিন্তু এখন পদপদবীতে সবাই আমার সিনিয়র। ১৯৯৩ সালে যারা ঢাকা শহরে এসেছেন, দলে যোগদান করেছেন, ২০০১ সালে দলে যোগদান করেছেন-তারা সবাই পদবীতে আমার সিনিয়র। স্থায়ী কমিটিতে অনেকে আছেন রাজনীতিতে বয়স হিসাব করলে আমার থেকে জুনিয়র হবে। মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুবদল করতেন। আমরা ছাত্রদল করতাম। আজকে আমার সেই অবস্থানটি নেই। কোনো কোনো সময় মিটিংয়ে গেলে নামও বলা হয় না, পরিচয় করানো হয় না। বেগম খালেদা জিয়ার জন্য অনশনে গিয়েছিলাম, কেউ নামও ঘোষণা করেনা, বসতেও বলেনা। বিভিন্ন কারণে ঘরে বসে রাজনীতি শুরু করলাম। চাঁদপুরের রাজনীতিও নষ্ট হয়ে গেছে। ডেমোক্রেটিক ওয়েতে কমিটি দেয়া হচ্ছে না। ভাবলাম ঘরে বসে যতটা কন্ট্রিবিউশন করা যায়। সেই সাথে টকশোকে অংশ নিলাম, সেখানে চাউর ছিলাম। দলের পক্ষে কথা বলতাম।

মামলার বিষয়ে বলেন, আমি একমাত্র ব্যক্তি যে দুর্নীতির কোনো মামলা হয় নাই। ভেবেছিলাম, দুর্নীতির মামলা হয় নাই সেজন্য হয়তো দল থেকে প্রশংসা পাবো। তাও পাই নাই। আমার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা রয়েছে। সবগুলোই ম্যাচুরিটির পর্যায়ে। রায় দেয়া শুরু হয়েছে। এগুলো সব মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
 

বিভি/এনএম

মন্তব্য করুন: