• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

সাফ নারী টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ২১ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
সাফ নারী টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

বাংলাদেশের মাটিতে টুর্নামেন্ট ছিল বিধায় খেলতে আসেনি ভারত। স্বাগতিকরা ছাড়া ছিল বাকি তিন দল। চার দলের এই টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়ে খেলে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আফঈদা খন্দকারের দল।

সোমবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আসরের শেষ ম্যাচ ছিল অলিখিত ফাইনাল। সেখানে সব আলো আজ নিজের দিকে টেনে নেন দুই ম্যাচ খেলতে না পারা সাগরিকা। ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন, এমন সমীকরণের ম্যাচে বাংলাদেশ নেপালকে ৪–০ গোলে হারিয়ে বয়সভিত্তিক সাফের শিরোপা ধরে রেখেছে।

ম্যাচে ৪টি গোলই করেছেন সাগরিকা। এ নিয়ে পঞ্চমবার এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ‎‎নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ দলের আগের তিনটি ম্যাচে সাগরিকা ছিলেন দর্শক। তাকে ছাড়া সেই ম্যাচগুলো বাংলাদেশ জিতেছে ঠিকই কিন্তু আক্রমণে দুর্বলতা চোখে পড়েছে প্রকটভাবে। 

‎এমন ম্যাচে গোল করেও হয়তো আফসোস থেকে গেছে সাগরিকার। হয়তো ম্যাচের পর মনে হয়েছে ইশ্‌! যদি ছয়টি ম্যাচই খেলা যেত। তবু কম কীসে, তিন ম্যাচ খেলেই ৮ গোল করলেন যার মধ্যে আবার দুই হ্যাটট্রিকও। ৭১ মিনিটে অফসাইডে না পড়লে পঞ্চম গোলটিও পেয়ে যেতেন সাগরিকা। তারপরও এক ম্যাচেই যেন সব দায় শোধ করে দিলেন সাগরিকা।

প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের ৭ মিনিটে একটি গোল করেন তিনি। আর ম্যাচের ৫১ মিনিটে ম্যাজিক দেখান সাগরিকা। উমেলা মারমার বুদ্ধিদীপ্ত পাস ধরে দুজনকে ড্রিবল করে নিশানা ভেদ করেন ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে। ৫৮ মিনিটে বাতাসে ভাসতে থাকা বল লুফে নিয়ে সোজা নেপাল গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠিয়ে সতীর্থদের নিয়ে হ্যাটট্রিকের আনন্দে মাতেন সাগরিকা। ৭৭ মিনিটে আরও একবার নেপালের জাল ছুঁয়ে উদ্‌যাপনে মাতেন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তিন গোল, নেপালের সঙ্গে প্রথম দেখায় এক গোল করেছিলেন সাগরিকা।

‎‎২০২২ সালের পর এবারের সাফেও ছিল না কোনো ফাইনাল। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে যে দল বেশি পয়েন্ট পাবে তারাই চ্যাম্পিয়ন। সে হিসেবে আজকের ম্যাচটি হয়ে যায় অলিখিত ফাইনাল। যেখানে নেপালকে উড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। নেপালের পয়েন্ট ১২।

‎‎গত অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর দেশের নারী ফুটবল অনেক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে। কোচের বিরুদ্ধে ফুটবলারদের বড় এক অংশের বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সেই ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে নতুন করে দল গোছান পিটার বাটলার। এরপর র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোকে কাবু করে চমক দেখায় বাংলাদেশ। 

সবশেষ মিয়ানমারে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপেও জায়গা করে নেয় তাঁরা৷ সবই যেন স্বপ্নের মতো ছিল। বড়দের সাফল্যের পথ ধরে এবার ঘরের মাঠে ছোটরাও ধরে রাখলেন বিজয়ের কেতন।

২০১৮ সালে শুরু হওয়া বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট ২০২১ থেকে নিয়মিত হচ্ছে। প্রথমবার নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জেতে আঁখি-স্বপ্নারা। দুই বছর পরও শ্রেষ্ঠত্বটা ধরে রাখে বাংলাদেশ। তৃতীয় আসরে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি ঘরে রাখে ভারত। এরপর ২০২৩ সালে আবার নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। গতবার ঢাকায় হওয়া এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে শিরোপা জিতেছিল। 

‎‎১১ দিনের প্রতিযোগিতায় ছয় ম্যাচের ছয়টিই জিতেছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে উড়িয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল মেয়েরা। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারে নেপাল। এরপর টানা দুবার ভুটানকে হারায় স্বাগতিকেরা। লঙ্কানদের সঙ্গে দ্বিতীয় দেখায় বাংলাদেশ জেতে ৫-০ গোলে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: