দেড়শ’র আগেই থামল আফগানিস্তান, আজই সিরিজ জিতবে টাইগাররা?

জয়ে শুরু করা সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচেও টাইগারদের সামনে সহজ লক্ষ্য। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি আফগানিস্তান। নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলামদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে তারা ৫ উইকেটে ১৪৭ রান সংগ্রহ করেছে। ১৪৮ রান করলেই সিরিজ বাংলাদেশের।
এশিয়া কাপের পরই বিরতি ছাড়া দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেমেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার উভয় দলই একাদশে পরিবর্তন আনে। তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিবকে বিশ্রামে রেখে ফেরানো হয় শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। এর মধ্যে দুজনই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। আফগানদের পক্ষে ইব্রাহিম জাদরান সর্বোচ্চ ৩৮ এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩০ রান করেন।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উইকেট ধরে রাখলেও আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল ধীরগতির। তাদের সেভাবে হাত খুলে মারতে দেননি শরিফুল-মুস্তাফিজ-নাসুমরা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আফগানদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৩৫ রান। এরপর রানের গতি যখন বাড়াতে শুরু করেন ইব্রাহিম জাদরান ও সেদিকউল্লাহ আতাল, তখন সেদিককে বাউন্ডারিতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রিশাদ হোসেন। ১৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ রান করেন তরুণ এই ওপেনার। ১০ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৯ রান।
এরপরই আউট ইব্রাহিম। ৩৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করা এই ব্যাটার নাসুম আহমেদের বলে বাউন্ডারি লাইনের কাছে দাঁড়িয়ে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। অভিষিক্ত ব্যাটার ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলও রিশাদের শিকার। তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটা হয়েছে ৪ বলে ১ রান করে। ৯ বলে ১৪ রান করা দারউইশ রাসুলি নাসুমকে মারতে গিয়ে বেশিদূর নিতে পারেননি। ডিপ এক্সট্রা কভারে তার ক্যাচ নেই পারভেজ ইমন। শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে গুরবাজ থেমেছেন ২২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রান করে।
শেষদিকে মোহাম্মদ নবি ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৯ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নাসুম ও রিশাদ। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় এক উইকেট শিকার করেন শরিফুল।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: