১২ বছর পর মুখোমুখি হয়েও থাইল্যান্ডের কাছে হারলো বাংলাদেশ
সেই ২০১৩ সালের পর আর থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা হচ্ছিলো না বাংলাদেশ নারী দলের। তবে দীর্ঘদিন পরের এই সাক্ষাতেও এলো না জয়। শুক্রবার ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে ৩-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
নারী এশিয়া কাপের প্রস্তুতি মিশনটা ভালোভাবে শুরু হলো না বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। থাইল্যান্ড সফরে প্রথম প্রীতি ম্যাচেই হোঁচট খেল ঋতুপর্ণা-আফিদারা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই এক গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আরো দুই গোল হজম করে দলটি।
ফিফা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হলেও এই ম্যাচটি ছিল ক্লোজড ডোর। অর্থাৎ কোনো দর্শক উপস্থিত ছিলেন না, টেলিভিশন বা অনলাইনেও সম্প্রচার হয়নি। শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
বাফুফের মিডিয়া বিভাগ ফলাফল জানালেও গোলদাতাদের নাম কিংবা সময়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের নারী দল মুখোমুখি হয়েছিল প্রায় এক যুগ আগে, ২০১৩ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে। সেই ম্যাচে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ ১২ বছর পর আবারও থাই মেয়েদের বিপক্ষে মাঠে নেমে এবার তুলনামূলক কম ব্যবধানে হেরেছে তারা।
থাইল্যান্ড নারী ফুটবলে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল। যদিও এবার ভারতের কাছে হেরে তারা এশিয়া কাপের মূল পর্বে উঠতে পারেনি। ফিফা র্যাংকিংয়ে থাইল্যান্ড আছে ৫৩ নম্বরে, যেখানে বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১০৪ নম্বরে।
বাংলাদেশ নারী দল জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সেই ঐতিহাসিক সাফল্যের পর এই ম্যাচ ছিল তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক পরীক্ষা। সামনে আরো একটি সুযোগ আছে, ২৭ অক্টোবর ব্যাংককেই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: