• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চাকরি না পাওয়া কোচরা আমাদের রিহ্যাব সেন্টারেঃ মাশরাফি

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ২৬ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৫:৫২, ২৬ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
চাকরি না পাওয়া কোচরা আমাদের রিহ্যাব সেন্টারেঃ মাশরাফি

ছবি: ফাইল

শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ হারায় নানা বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক-এর ‘আয়না দেখার’ পরামর্শ আলোচনায়। মাহমুদুল্লাহ’র বোলিং আক্রমণ সাজানো নিয়ে কথা হচ্ছে। কথা হচ্ছে লিটন দাস-এর জোড়া ক্যাচ মিস নিয়ে।

তবে মাশরাফি’র মতে, গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা আলোচনার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ম্যাচ হার বা ম্যাচের পরিকল্পনা শুধু অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ’র ছিলো না। কোচিং প্যানেলও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টাইগার কোচিং প্যানেলকে রিহ্যাভ সেন্টারও বললেন সাবেক অধিনায়ক ম্যাশ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মাশরাফি পয়েন্ট ধরে শ্রীলংকার বিপক্ষে হারের বেশ কিছু কারণ অনুসন্ধান করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হলো:

প্রথমত: ম্যাচের ৯.৪ ওভারে ৭৯ রানে ওদের ৪ উইকেট পড়ে। এরপর ড্রিংকস ব্রেক দেওয়া হয়। ওই সময় কোচও মাঠের ভেতরে এসেছিলেন। উনি এসে রিয়াদ-এর সংগে কী কথা বলেছিলেন। যদি কথা বলে থাকেন তাহলে সব দায় কেনো রিয়াদ-এর? মানলাম অন ফিল্ড ক্যাপ্টেন কল ইজ ফাইনাল। তবে ম্যাচের ক্রাঞ্চ মোমেন্টে কি কোচ ডিসকাশন করেন না? তাঁর প্ল্যান কি জানতে চেয়েছিলেন কোচ? যদি কথা হয়ে থাকে তাহলে কোচের প্রেস হ্যান্ডেল করা উচিত ছিলো কি না?

দ্বিতীয়ত: ম্যাচের আগে উইকেট শুধু ক্যাপ্টেন দেখে না, পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট দেখে। তাঁরাই চিন্তা করেছে উইকেট স্লো হবে। যে কারণে তাসকিনকে বসিয়ে নাসুমকে খেলানো। কিন্তু নাসুমকে পাওয়ার প্লের পর বোলিং করানো হলো না। কারণ দুজন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান উইকেটে। আগেই চিন্তা করা উচিত ছিলো শ্রীলংকার টপ অর্ডারে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান বেশি। তার ওপর মাঠের একপাশে সীমানা মাত্র ৫৬ গজ। ব্রেকের সময় কোচ রিয়াদকে কি বলেছিলেন নাসুমকে ব্যাক করো? তাহলে ঐ সময় কোচ কী করছিলেন? বসে খেলা দেখছিলেন? আবারও বলছি সিদ্ধান্ত রিয়াদ নেবে কিন্তু ওকে তো হেল্প করতে হবে।

আরও পড়ুন:
শামিকে ‘পাকিস্তানি’ বলায় ক্ষেপেছেন শেবাগ
জরিমানা খেলেন লিটন-লাহিরু

লিটন কেন দলে, প্রশ্ন ওয়াসিমের

তৃতীয়ত: লিটন-এর ক্যাচ মিসের কোন অজুহাত দেবো না। লিটন নিজেও দেবে না। ক্যাচ মিস খেলার অংশই। কিন্তু ফিল্ডিং কোচের কাছে কী এই বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। ক্যাচ মিস কি এই প্রথম হলো? ২০১৯ বিশ্বকাপের পর কোচিং প্যানেলের প্রায় সবাই চাকরি হারিয়েছে, শুধু ফিল্ডিং কোচ টিকে গেছেন। তাহলে আমরা বিশ্বকাপে বা তারপর কী সেরা ফিল্ডিং সাইড হয়ে গিয়েছি।

এখন টিম ম্যানেজমেন্ট দেখলে একটা রিহ্যাব সেন্টার মনে হয়। সাউথ আফ্রিকার চাকরি না পাওয়া কোচগুলো একসংগে আমাদের রিহ্যাব সেন্টারে চাকরি করছে। যতোদিন থাকবে মন যা চাইবে তাই করবে। হেড কোচ এক এক করে নিজ দেশের সবাইকে আনছে। এরপর যারা অস্থায়ীভাবে আছে তাঁদেরও সরাবেন। তাও মেনে নিলাম। কিন্তু রাসেল ম্যানেজমেন্টের জন্য যেভাবে স্টেপআপ করেন, তাহলে তামিম, মুশফিক, রিয়াদ কেন ভালো থাকে না। এটা ঠিক করা কী তাঁর কাজ না?

তারপরও দায় ক্রিকেটারদের নিতে হয় ও হবে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ মাঠে তারাই খেলে। কিন্তু খেলোয়াড়দের দায় নেওয়ার মতো পরিবেশ দিতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে বিপদে কেউ না থাকুক টিম ম্যানেজমেন্ট পাশে থাকবে।

আমি আমার ক্যাপ্টেনসির শেষ প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলাম, এই দলের কোচ যেই হোক না কেন এখন এই দলের রেজাল্ট করার সময়, এক্সপেরিমেন্টের না। কোচের চাহিদা মেটানোর আগে আমাদের দেশের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। কারণ ক্রিকেট দেশের মানুষের কাছে এখন স্রেফ খেলা নেই আবেগে পরিণত হয়েছে। ভালো করুক আমার প্রিয় দল।

বিভি/এসএম

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2