• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

১৫ বছর পরও রানার জন্য ডুকরে কাঁদে দেশের ক্রিকেট

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ১৬ মার্চ ২০২২

আপডেট: ১৬:২৭, ১৬ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
১৫ বছর পরও রানার জন্য ডুকরে কাঁদে দেশের ক্রিকেট

মানজারুল ইসলাম রানা। একটি আক্ষেপের নাম। যে আক্ষেপটি তৈরি হয়েছিল আজ থেকে ঠিক ১৫ বছর আগে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায়। পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে হারিয়ে গেছেন পরপারে। এই রানার জন্য আজও কাঁদে দেশের ক্রিকেট।

২০০৭ সালে মর্মান্তিক সেই সড়ক দুর্ঘটনায় রানার সাথে মৃত্যুর মিছিলে নাম লিখিয়েছিলেন  সাজ্জাদুল হাসান সেতুও। ঘড়ির কাঁটা আর ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে এই দুজনের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী চলে এলো।

২০০৭ সালের যেদিন রানা দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন, তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ খেলছিলো বাংলাদেশ দল। পরদিন রানার মৃত্যুশোককে শক্তিতে পরিণত করে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় টাইগাররা। 

রানা ছিলেন প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের একজন। পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে খেলেছেন মাত্র ৬টি টেস্ট। যদিও সেই সময় বাংলাদেশ দলই টেস্ট খেলেছিল কম।

তৎকালীন বাংলাদেশের ভঙ্গুর ক্রিকেটকে অনেক উপরে নেয়ার স্বপ্ন ছিলো রানার। রানা না থাকলেও বাংলাদেশের ক্রিকেট কিন্তু আজ রানার স্বপ্ন দেখা পথেই।হয়তো ওপারে থেকে দলকে দিচ্ছেন অসীম সাহস।

১৯৮৪ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন রানা। বাঁহাতি অফস্পিন ও অলরাউন্ডার রানার বাংলাদেশ দলে টেস্ট অভিষেক ঘটে ২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। 

তার আগে ঘটে ওয়ানডে অভিষেক। দেশের হয়ে ৬টি টেস্ট আর ২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে স্মৃতির পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছেন খুলনার ছেলে রানা। তার সঙ্গী হয়ে পরপারে পাড়ি জমানো সেতু ৫০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন।

এ দুজনের মৃত্যুর কথা যখনই স্মরণে আসে, তখন চোখ ভিজে যায় ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক মাশরাফি বিন মুর্তজা, সৈয়দ রাসেল ও আব্দুর রাজ্জাকদের। দেশের ক্রিকেটাঙ্গন এ দুই অকাল প্রয়াত তারকাকে মনে রাখবে অনন্তকাল।

বিভি/এ.জেড

মন্তব্য করুন: