• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

এবার মিয়ানমারের দিকে ঝুঁকছে ভারত, সমুদ্রপথে যুক্ত হবে সেভেন সিস্টার্স

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ১৮ মে ২০২৫

আপডেট: ১২:৩৬, ১৮ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
এবার মিয়ানমারের দিকে ঝুঁকছে ভারত, সমুদ্রপথে যুক্ত হবে সেভেন সিস্টার্স

ছবি: সংগৃহীত

সেভেন সিস্টার্স নানা অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত ইস্যুতে হাতছাড়া হয়ে যায় কি না, এ নিয়ে ভারতের উৎকণ্ঠা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদিকে, শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে বহু আগে থেকেই তেমন কোনও সুবিধা করতে পারছিল না ভারত সরকার। ফলে বাংলাদেশ ছিল তার একমাত্র নির্ভরতার জায়গা। ভারতের সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগ সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশে তেমন কোনও সুবিধা করতে না পারায় এবার মিয়ানমার হয়ে সমুদ্রপথে যোগাযোগ পথ নির্মাণ করতে যাচ্ছে ভারত। ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)-এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত মার্চ মাসে চীনের বেইজিং সফরের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি ‘ভূবেষ্টিত’ বা ঘিরে থাকা অবস্থায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানই একমাত্র সমুদ্রপথে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়, ফলে ঢাকা এই অঞ্চলের জন্য ‘সমুদ্রপথের একমাত্র অভিভাবক’।

ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, শিলং থেকে শিলচর পর্যন্ত ১৬৬.৮ কিলোমিটারের দীর্ঘ একটি চার লেনবিশিষ্ট মহাসড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। এই সড়কটি জাতীয় মহাসড়ক এনএইচ-৬-এর অংশ হিসেবে তৈরি হবে। শিলং থেকে শুরু হয়ে এটি যাবে পাঁচগ্রাম পর্যন্ত। প্রকল্পটি চালু হলে শিলং থেকে শিলচরের যাত্রাপথ সাড়ে ৮ ঘণ্টা থেকে কমে ৫ ঘণ্টায় নেমে আসবে। সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে এই মহাসড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে মিয়ানমারে বর্তমানে চলমান রয়েছে কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কলকাতা বন্দরকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিত্তে বন্দর পর্যন্ত নৌপথে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেখান থেকে কালাদান নদী ব্যবহার করে পালেতওয়া পর্যন্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। পালেতওয়া থেকে মিজোরামের জোরিনপুই পর্যন্ত একটি সড়কপথ নির্মাণ করা হয়। শিলং-শিলচর নতুন মহাসড়ক এই পরিবহন নেটওয়ার্ককে আরও বিস্তৃত করবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এনএইচআইডিসিএল-এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান,  শিলচরকে মিজোরাম, ত্রিপুরা, মণিপুর ও আসামের বরাক উপত্যকার প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ছাড়াই কালাদান প্রজেক্টের মাধ্যমে এখন বিশাখাপত্তনম ও কলকাতা থেকে সরাসরি পণ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাঠানো সম্ভব হবে।

বর্তমানে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর একমাত্র যোগাযোগের পথ শিলিগুড়ি করিডোর, যা ‘চিকেনস নেক’ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্য দিয়েও বিকল্প রুট রয়েছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি আঞ্চলিক জলপথে নিরাপত্তা বজায় রাখতে বঙ্গোপসাগরপথে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে।

এদিকে, বাংলাদেশে ভারতের অর্থায়নে চলমান রেল সংযোগ প্রজেক্টগুলোরও নির্মাণ ও জরিপের কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতকে তাদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে দেখা যাচ্ছে। উত্তর ভারতে রেল অবকাঠামো জোরদার করার পাশাপাশি ভুটান ও নেপালের মাধ্যমে বিকল্প সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনাও করছে দেশটি। এসব নতুন প্রজেক্টের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ কোটি রুপি।

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2