লেবাননে শিয়াদের প্রতি বৈষম্য, বাড়িভাড়াও দিতে অস্বীকৃতি মালিকদের

ছবি: সংগৃহীত
লেবাননে ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধ হলেও সংকট পিছু ছাড়েনি শিয়াদের। এবার তারা সংগ্রাম করছে পরিচয়ের অধিকার নিয়ে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হলে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী গাজাবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে ইসরাইল লেবাননের ভূখণ্ডে বড় আকারে হামলা শুরু করে।
হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দাহিয়েতে ইসরাইলি বাহিনীর হামলার পর এলাকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা সরাসরি হামলার টার্গেট হন।
শিয়া নারী ফাতিমা এবং তার পরিবারও এই ভয়াবহতার বাইরে ছিলেন না। গত অক্টোবর মাসে এক বিমান হামলায় তাদের বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাতিমা কানদিল (৪৩) জানান, তিনি ও তার দুই ছেলে চলতি বছরের মার্চে বৈরুতের দক্ষিণ উপশহর দাহিয়েতে একটি নতুন ভাড়াবাড়িতে উঠেছেন। যুদ্ধবিরতির পর তারা ৪ মাস আত্মীয়র বাসায় ছিলেন। তিনি বলেন, ইসরাইল ও লেবাননের যুদ্ধ বন্ধ হলেও হামলার আশঙ্কা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।
তিনি জানান, নতুন বাসা খুঁজতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে অনেক সময় শিয়াদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। লেবাননের হাজমিয়েহ এলাকাকে নিরাপদ মনে করা হলেও, অনেক মালিক শিয়া পরিবারকে সেখানে ভাড়া দিতে রাজি হন না। কেউ কেউ আবার সুযোগ নিয়ে বাড়িভাড়া সাধারণের চেয়ে দ্বিগুণ পর্যন্ত চেয়ে বসেন। তবে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছা নেই।
শিয়াদের মতে, ইসরাইল এবং লেবাননের এই যুদ্ধ শুধুমাত্র মানুষের ঘরবাড়িই ধ্বংস করেনি, বরং তাদের শিয়া পরিচয়, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক বন্ধনকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: