ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে ১ মাসে দেড় লাখ টনচাল আমদানি
এভাবে আমদানি হলে চালের দাম বাড়ার সুযোগ থাকবে না: খাদ্য উপদেষ্টা

চট্টগ্রামে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার
ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে এক মাসে চাল আমদানি হয়েছে দেড় লাখ টন। সরকারি পর্যায়ে দেশে চালের বাজার স্থিতিশিল রাখতে এ বছর ৯ লাখ টন চাল আমদানির কথা জানিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেছেন, চাল আমদানি হওয়ায় দেশে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। মোটা চালের কেজিতে দাম কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রক্রিয়াগত জটিলতা, এলসি-তে ব্যাংকের অনিহার কারণে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি না বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মিলারদের মজুতের কারণে বাজার এখনো অস্থিতিশীল।
জানা যায়, এবার আমন মৌসুমে অকাল বন্যার কারণে ধান উৎপাদন কম হওয়ায় স্বাভাবিক নিয়মে চালের উৎপাদনও কমেছে। এতে চাপে পড়ে সরকার ঘাটতি মেটানোর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ৯ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদেশ থেকে একের পর এক জাহাজে চাল আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ইতোমধ্যে চাল আমদানি হয়েছে দেড় লাখ টন। খাদ্য অধিদপ্তর জাহাজ থেকে এসব চাল দ্রুত খালাস করে ছড়িয়ে দিচ্ছে দেশব্যাপী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে পরিবর্তনের যে হাওয়া বইছে তার ছোয়া লেগেছে বন্দরের চাল খালাসেও। একদিনে আগের ২ হাজার ২০০ টনের জায়গায় এবার রেকর্ড ৪ হাজার ৭০০ টন চাল খালাস হয়েছে। একই সাথে আমদানির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে দ্রুততার সাথে।
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে চাল খালাস কার্যক্রম ঘুরে দেখেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার বাণিজ্যকে রাজনীতির সাথে মেলাবে না, যেখান থেকে কম মূল্যে খাদ্য পাওয়া যাবে সেখান থেকে আমদানি করা হবে। এভাবে আমদানি হলে চালের দাম বৃদ্ধির সুযোগতো থাকবে না, ক্রমান্বয়ে কমবে।
এদিকে চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, জটিল আমদানি প্রক্রিয়া, ব্যাংকে অস্থিরতার কারণে চাল আমদানির প্রচুর অনুমোদন নিলেও আমদানি হয়েছে অনেক কম। একই সাথে বড় কর্পোরেট হাউসগুলো বিপুল পরিমান চাল নিজেদের কব্জায় নিয়ে যাওয়ায় বাজারে সংকট থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চাল আমদানির কিছুটা প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের চাক্তাই, পাহাড়তলী পাইকারী বাজারে। মোটা চালের দাম কেজি প্রতি দু’এক টাকা কমেছে। আর, চিকন চালের দামের উর্ধ্বগতি আপাতত থেমেছে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: